Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | চট্টগ্রাম রেলস্টেশন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আধুনিকায়নের নির্দেশ

চট্টগ্রাম রেলস্টেশন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আধুনিকায়নের নির্দেশ

নিউজ ডেক্স : নিজেদের নির্বাচনী এলাকায় রেলওয়ের উন্নয়ন কাজ তদারকি করতে চান রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্যরা। এজন্য তারা তাদের নির্বাচনী এলাকায় রেলওয়ের উন্নয়ন কাজের তথ্য চেয়েছেন মন্ত্রণালয় থেকে। গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকের কার্যপত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, স্থায়ী কমিটির সদস্যরা রেলওয়ের উন্নয়নে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তাদের নির্বাচনী এলাকার লোকজন যাতে ভবিষ্যতেও জনপ্রতিনিধিদের কীর্তি স্মরণ রাখেন, সেজন্য তাদের নির্বাচনী এলাকার স্টেশনগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আধুনিকায়নের নির্দেশনা দেওয়া দরকার। এ সময় তিনি আশির দশকে নির্মিত চট্টগ্রাম রেলস্টেশনটি জরাজীর্ণ রয়েছে উল্লেখ করে উষ্মা প্রকাশ করেন। তিনি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এটির আধুনিকায়নের নির্দেশ দেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, আসাদুজ্জামান নূর, শফিকুল ইসলাম শিমুল, শফিকুল আজম খাঁন, গাজী মোহাম্মদ শাহ নওয়াজ ও নাদিরা ইয়াসমিন জলি। কমিটির সদস্য সাইফুজ্জামান চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ স্টুডেন্টভিত্তিক স্টেশনগুলোর প্লাটফর্ম উঁচু করার অনুরোধ করে বলেন, চট্টগ্রাম স্টেশনটি অত্যন্ত নিম্নমানের মনে হয়। বাসস্টেশনও এর চেয়ে ভালো।

কার্যপত্রে দেখা গেছে, কমিটির আগের বৈঠকে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তাদের নির্বাচনী এলাকার রেলওয়ের উন্নয়নকাজ তদারকি করবেন বলে সুপারিশ করা হয়। সুপারিশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি হিসেবে গতকালের বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নির্বাচনী এলাকায় রেলওয়ের উন্নয়ন কাজের বিষয়ে তথ্যাদি স্থায়ী কমিটির সদস্যদের কাছে সরবরাহ করা হবে। সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালকরা সংসদ সদস্যদের তদারকি কাজে সহযোগিতা করবেন।

সভায় উল্লেখ করা হয়, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে ৭ হাজার ৬৪৮ মেট্রিক টন স্ক্র্যাপ মজুত রয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৯৬৫ মেট্রিক টন স্ক্র্যাপ বিক্রির দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। ৫ হাজার ৬৮৩ মেট্রিক টন বিক্রির দরপত্র আহ্বানের অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়া ৩৮৭টি খালি ড্রাম বিক্রির জন্য ১ লাখ ৫৫ হাজার ৫৯৪ টাকা জমাদানের অপেক্ষায় আছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে স্ক্র্যাপ মালামাল বিক্রি করে পূর্বাঞ্চল ৩৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা এবং পশ্চিমাঞ্চল ১২ কোটি ২৯ লাখ ৭৩ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে।

অপরদিকে রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলে ৫ হাজার ৮৭৪ মেট্রিক টন স্ক্র্যাপ মজুত রয়েছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ৩৪৩ মেট্রিক টন স্ক্র্যাপ বিক্রির দরপত্র খোলার অপেক্ষায় রয়েছে। ১ হাজার ৮১৪ মেট্রিক টন বিক্রির দরপত্র আহ্বানের অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়া ৭১৭ মেট্রিক টন স্ক্র্যাপ বিক্রির অর্থ জমাদানের অপেক্ষায় আছে।

সভায় রেলওয়ের স্ক্র্যাপ পরিমাপের ক্ষেত্রে স্কেল ব্যবহার এবং ক্যারেজ মেরামতের ক্ষেত্রে মানসম্মত স্টিল ও অন্যান্য সামগ্রী ব্যবহারের পরামর্শ প্রদান করা হয়। সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ রেলওয়েকে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ঠিকাদার নির্বাচনের সুপারিশ করেন। বৈঠকে সংসদীয় কমিটি রেলওয়ের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন ও সরঞ্জাম সংগ্রহের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো দেশের ওপর নির্ভর না করে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্বাচনেরও সুপারিশ করেন। -আজাদী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!