ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | চট্টগ্রাম-দোহাজারী রুটে যুক্ত হল একজোড়া নতুন ট্রেন

চট্টগ্রাম-দোহাজারী রুটে যুক্ত হল একজোড়া নতুন ট্রেন

ctg-relway-2-20181103173210

নিউজ ডেক্স : প্রায় দুই যুগ পর দক্ষিণ চট্টগ্রামবাসীর অন্যতম দাবি পূরণ হয়েছে। যাত্রা শুরু করেছে চট্টগ্রাম-দোহাজারী রুটে একজোড়া নতুন ট্রেন। শনিবার (৩ নভেম্বর) দুপুর একটায় জেলার পটিয়া রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেন দুটি উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পটিয়ার সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী, চন্দনাইশের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী, বোয়ালখালীর সংসদ সদস্য মঈনুদ্দীন খান বাদল ও বাংলাদেশ রেলওয়ের জিএম সৈয়দ ফারুক আহমেদ। এ সময় নতুনজোড়া ট্রেনের উদ্বোধন উপলক্ষে পটিয়া রেলওয়ে স্টেশনে সমবেত হয় শত শত মানুষ।

পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের সহকারী চিফ অপারেটিং সুপারিন্টেনডেন্ট মো. ওমর ফারুক বলেন, দক্ষিণ চট্টগ্রামে যাত্রী চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় চট্টগ্রাম-দোহাজারী রুটে আরও একজোড়া ট্রেন উদ্বোধন হলো আজ। বর্তমানে এক জোড়া ট্রেন চলাচল করছে। নতুন আরও একজোড়ে ট্রেন সংযোজন করায় এখন থেকে মোট দুইজোড়া ট্রেনের সময় সূচি হচ্ছে চট্টগ্রাম থেকে সকাল ১১টায় ছেড়ে দোহাজারী পৌঁছবে বেলা ২টায়। আবার দোহাজারী থেকে বিকেল ৩টায় ছেড়ে সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম আসবে।

চট্টগ্রাম থেকে সন্ধ্যা ৭টায় ছেড়ে ১০টায় পৌঁছবে দোহাজারীতে। পরদিন ভোরে দোহাজারী থেকে সাড়ে ৬টায় ছেড়ে চট্টগ্রামে পৌঁছবে সকাল সাড়ে ৯টায়। দুইজোড়া ট্রেন এভাবে চলাচল করবে। প্রতি শুক্রবার সাপ্তাহিক একজোড়া ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে ।

চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারী পর্যন্ত প্রায় ৪৭ কিলোমিটারের পথটি রেলের একটি গুরুত্বপূর্ণ রুট। এ রুটে এক সময় প্রতিদিন সকাল-বিকেল ৪ জোড়া ট্রেনের নিয়মিত চলাচল ছিল। এলাকাবাসী নিরাপদ, সহজ ও সাশ্রয়ী যাতায়াতের জন্য এ রুটটি যখনই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে তখন হঠাৎ লোকসানের অজুহাত তুলে ৯০ দশকের দিকে একে একে বন্ধ করে দেয়া হয় এখানকার এসব লোকাল ট্রেনগুলো। এমনকি বর্তমানে চলাচলকারী ট্রেনটির পরিচালনা ২০০০ সালের ১ অক্টোবর বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল।

পরে ২০০২ সালের ১৫ জানুয়ারি তা আবারও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়। ট্রেনের সংখ্যা কম থাকায় দক্ষিণ চট্টগ্রামের হাজার হাজার যাত্রীকে প্রায় ২ যুগেরও অধিক সময় ধরে চরম দুর্ভোগে যাতায়াত করে আসছিলে। দীর্ঘদিন যাবত এ রুটে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি ছিল সাধারণ মানুষের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!