Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | চট্টগ্রামে সুদীপ্ত হত্যায় আ. লীগ নেতা মাসুম গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে সুদীপ্ত হত্যায় আ. লীগ নেতা মাসুম গ্রেপ্তার

020359999_2019-4-pic-

নিউজ ডেক্স : চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত বিশ্বাস হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গতকাল রবিবার রাতে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মঈন উদ্দিন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দিদারুল আলম মাসুম চট্টগ্রাম নগরীর লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। লালখান বাজার এলাকায় বিভিন্ন সংঘর্ষ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তাঁর নাম এসেছে। গণমাধ্যমে অস্ত্র হাতে তাঁর ছবিও ছাপা হয়েছে।

২০১৭ সালে নিজ বাসার সামনে পিটিয়ে হত্যা করা হয় চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সহসম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাসকে। এ হত্যাকাণ্ডে শুরু থেকেই মাসুমের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে।

মামলার আসামি ফয়সাল আহমদ পাপ্পু স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানিয়েছিল, হত্যার আগে সুদীপ্তকে বাসা থেকে ডেকে বাইরে আনে চশমা রুবেল ও মুরাদ। তাঁকে হত্যার পর জাহেদ দুই রাউন্ড গুলি চালিয়ে এলাকা ত্যাগ করে। সুদীপ্ত হত্যায় অংশ নেওয়া সবাই লালখান বাজারের যুবলীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুমের লোক।

জবানবন্দিতে ফয়সাল আরো জানায়, দিদারুল আলম মাসুম তার কাজে দাড়িওয়ালা নিপু, মোটা নিপু ও মোক্তারকেই ব্যবহার করে। তারাই মাসুমের হয়ে নির্দেশ বাস্তবায়ন করে। সুদীপ্তকে হত্যা করার দিন তারা মোটা নিপুর নির্দেশে নালাপাড়ায় যায়।

পিবিআইয়ের ঢাকা মেট্রোর বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএস) আবুল কালাম আজাদ বলেন, চট্টগ্রামের টিম এসে ঢাকা থেকে আসামি গ্রেপ্তার করেছে। এ ব্যাপারে তাঁরাই বিস্তারিত জানাতে পারবেন।

১৯৯৭-৯৮ সালে চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন মাসুম। লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হন ২০০১ সালে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে প্রায় তিন বছর কারাবাসে ছিলেন তিনি। মুক্তি পাওয়ার পর দীর্ঘদিন ছিলেন দেশের বাইরে। দেশে ফেরার পর ২০১৩ সাল থেকে তিনি লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

স্থানীয় এক ওয়ার্ড কাউন্সিলরের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত সপ্তাহে মাসুমের দুটি অস্ত্রের নিবন্ধন বাতিল করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গত বুধবার নিজেই অস্ত্রগুলো থানায় জমাও দিয়েছেন তিনি।

বিভিন্ন সময়ে লালখান বাজার এলাকায় সংঘর্ষ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তাঁর নাম এসেছে। হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের সময় নগরের লালখান বাজার এলাকায় প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে সমালোচিত হন তিনি। সেই সময় গণমাধ্যমে অস্ত্র হাতে ছবি ছাপা হয় তাঁর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!