Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেলের একপ্রান্তের কাজ শেষ

কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেলের একপ্রান্তের কাজ শেষ

নিউজ ডেক্স : চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু টানেলের একপ্রান্তের কাজ শেষ হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (সিআরবিসি)।

সোমবার (৩ আগস্ট) নিজেদের এক প্রকাশনায় তারা বিষয়টি উল্লেখ করে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, দেশের প্রথম এই টানেল নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি (সিসিসিসি) এবং চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (সিআরবিসি) চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেলের বাম লাইনের নির্মাণকাজ গতকাল (রোববার) শেষ করেছে। এতে প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশের কাজ শেষ হলো।

টানেলটি কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে পূর্ব ও পশ্চিম তীরকে সংযুক্ত করেছে। সুড়ঙ্গের মোট দৈর্ঘ্য ৯.৩ কিলোমিটার। মূল কাঠামো ২৪৫০ মিটার দীর্ঘ। টানেলের ব্যাস ১১.৮ মিটার। এ টানেলে দুটি আলাদা পথে চারটি লেন দিয়ে সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি যাতায়াত করবে।

tanel-02

নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানটি জানায়, প্রকল্পটি চীনা গবেষণা ও মেশিন দিয়ে করা হচ্ছে। এটি বাংলাদেশে নদীর তলদেশ দিয়ে তৈরি প্রথম টানেল। টানেলের নির্মাণকাজ শেষ হলে চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক উন্নত হবে এবং প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে যোগাযোগও অনেক সুবিধাজনক হবে।

নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে নয় হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রকল্প ঋণ হিসেবে চায়না এক্সিম ব্যাংক পাঁচ হাজার ৯১৩ কোটি টাকার অর্থায়ন করছে। অবশিষ্ট অর্থায়ন বাংলাদেশ সরকারের (জিওবি)।

tanel-01

২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ মেগাপ্রকল্পের যৌথভাবেভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মিত হলে শুধু চট্টগ্রাম নয়, সমগ্র দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি তথা জাতীয় সমৃদ্ধি অর্জনের স্বপ্ন পূরণ হবে— এমন প্রত্যাশা ফুটে উঠেছে। টানেলটি নির্মিত হলে দেশের বাণিজ্যিক রাজধানীখ্যাত বন্দরনগরী চট্টগ্রামে দাঁড়াবে হংকংয়ের আদলে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’। বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলে বিনিয়োগ-শিল্পায়ন, পর্যটন, যোগাযোগ ব্যবস্থা, খনিজ, কৃষিজ, সামুদ্রিক ও প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণসহ বিভিন্ন খাত, উপ-খাতে আসবে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। রাজস্ব জোগান বৃদ্ধি পাবে। চীন পর্যন্ত সরাসরি সড়ক পথে যোগাযোগের দুয়ার খুলে যাবে। জাগো নিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!