নিউজ ডেক্স : নগরীর ইপিজেড থানা এলাকায় অজ্ঞাত নারীর হাত-পা বিহীন দেহ উদ্ধার করার কয়েক ঘন্টার মাথায় সন্ধ্যায় পাওয়া গেছে এক নারীর মস্তক (মাথা)। শনিবার (২৬ আগস্ট) কর্ণফুলী নদীর নৌবাহিনীর দুই জাহাজের মাঝখান থেকে দেহ এবং পরে ইপিজড নারিকেল তলা থেকে উদ্ধার করা হয় মাথা।
পুলিশের ধারণা খণ্ডিত দুটি অংশই একই নারী হবে পারে। তবে পুলিশ এ নারীর কোন পরিচয় পায়নি। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
ইপিজেড থানার পুলিশ জানায়, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে বানৌজা ঈসা খাঁস্থ নৌবাহিনীর দুইটি জাহাজের মাঝখানে একটি মাথা ও হাত পা বিহীন লাশ ভাসমান অবস্থায় দেখা গেলে নৌবাহিনীর সহায়তায় তা উদ্ধার করা হয়। পরে একই দিনে সন্ধ্যা দিকে টহল গাড়ির অফিসার এস আই শাহ আলম ও টিটু জানতে পারে নারিকেলতলাস্থ এস আলম গলির একটি খালে প্লাসেটিকের ব্যাগে গলিত অবস্থায় দেহ বিহীন একটি মাথা দেখতে পায় এলাকাবাসি। পরে ইপিজেড থানার অফিসার জাহেদ উল্লাহ জামান ও এস আই নাসিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকবাসীর সহায়তায় দেহ বিহীন মাথাটি উদ্ধার করে।
উদ্ধার করা খন্ডিত অংশ মাথা ও শরীর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) ফরেনসিক বিভাগে পাঠায় হয়।
এব্যাপারে ইপিজেড থানার সেকেন্ড অফিসার জাহেদ উল্লাহ জামান পাঠক ডট নিউজকে জানায়, ইপিজেড থানাধীন নৌবাহিনীর ঈসা খাঁস্থ কর্ণফুলী নদীতে একটি মাথা বিহীন লাশের খোঁজ পাওয়া গেলে নৌবাহিনীর সহায়তায় তা উদ্ধার করে থানায় আনার পরপরই সন্ধ্যা নাগাদ আমাদের থানাধীন নারিকেলতলাস্থ একটি খাল থেকে প্লাস্টিকের ব্যাগে ভাসমান দেহবিহীন মাথা উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার করা খন্ডিত মাথা ও দেহটি একই নারীর বলে ধারনা করা হচ্ছে এবং এ নারীকে পরিকল্পিতভাবে গলা কেটে হত্যার পর হয়তো দুবৃর্ত্তরা দুটি অংশ দুই জায়গায় ফেলে দিয়েছে।
তাই পরিক্ষা নিরীক্ষার জন্য আমরা হাসপাতালের ফরেনসিক ল্যাবে পাঠিয়েছি। রিপোর্ট পেলে বুঝতে পারবো পৃথকভাবে পাওয়া খণ্ডিত দেহের অংশ একজনের কিনা। এ ব্যাপারে রাত ১১টা দিকে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।