নিউজ ডেক্স : কর্ণফুলীতে এক বাড়িতে চার নারীকে ধর্ষণ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
পিবিআই চট্টগ্রাম মহানগর অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মঈন উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত জঘন্য ছিল। এটা চাঞ্চল্যকর মামলা বিধায় থানা পুলিশের কাছ থেকে আমরা মামলার দায়িত্ব নিয়েছি। আসামিদের গ্রেফতারে তৎপরতা শুরু করে দিয়েছি আমরা।
উল্লেখ্য গত ১২ ডিসেম্বর গভীর রাতে মহানগরীর আওতাধীন কর্ণফুলীর বড়উঠান ইউনিয়নের শাহ মিরপুর গ্রামে এক প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি করতে গিয়ে চারজন যুবক জানালার গ্রিল কেটে বাড়িতে প্রবেশ করে চার নারীকে ধর্ষণ করে। চারজনের মধ্যে তিনজন প্রবাসী তিন ভাইয়ের স্ত্রী, অন্যজন তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসা আত্মীয়া যুবতি। এ সময় তারা নগদ ৮৫ হাজার টাকা ও ১৫ ভরি স্বণালঙ্কারও নিয়ে যায়।’
এ ঘটনার পর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করতে গেলে কর্ণফুলী থানা পুলিশ তাদের পটিয়া থানায় যেতে বলে, পটিয়া থানা পুলিশ বলে কর্ণফুলি থানায় মামলা করতে। প্রায় ৭দিন গড়িমসি করেও মামলা না নেয়ায় আনোয়ারা থেকে নির্বাচিত সরকার দলীয় এমপি ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান জাবেদের নির্দেশে কর্ণফুলী থানা পুলিশ মামলা নিতে বাধ্য হয়। পরে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে তোলপাড় পড়ে যায়। পুলিশ তৎপর হয়ে উঠে।
এ ঘটনায় পুলিশ শাহ মীরপুর গ্রামের আহমদ মিয়ার ছেলে মো. সুমন ওরফে আবু (২৩) এবং পটিয়া উপজেলার শিকলবাহা গ্রামের দুলা মিয়ার ছেলে মো. ইসমাঈল ফারুকী (২৫)। এবং সর্বশেষ গতকাল রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার চাতুরী-চৌমুহনী এলাকা থেকে বাপ্পী (২৩) নামে আরো একজনকে আটক করা হয়।
এদিকে গতকাল সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে কর্ণফুলী থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নবানে জর্জরিত হয়ে এক পর্যায়ে মামলার তদন্তে এবং তাৎক্ষণিক যথাযত ভূমিকা পালনের ক্ষেত্রে নিজেদের কিছুটা ব্যর্থতা হয়েছে বলে স্বীকার করেন সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর) হারুন উর রশীদ হাযারী।
স্পর্শকাতর এ ঘটনার পর আমাদের (পুলিশের) যে ভূমিকা পালনের উচিত ছিল সে ক্ষেত্রে আংশিক ব্যর্থতা ছিল। মামলা নেওয়া কিংবা আসামি গ্রেফতারের ক্ষেত্রেও কিছুটা বিলম্ব হয়েছে বলে তিনি জানান।