ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে একদিনে আরো ২ মামলা

ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে একদিনে আরো ২ মামলা

নিউজ ডেক্স : মাদক ব্যবসায়ী অভিযোগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের খারাইঙ্গ্যা ঘোনার আলী আকবরের বাড়ী পুড়িয়ে দেয় টেকনাফ থানা পুলিশ কিন্তু ‘মাদক ব্যবসায়ী’ না হয়েও পুলিশের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ ঘরহারা পরিবারের সদস্যরা কক্সবাজার শহরে এসে সাংবাদিক সম্মেলন করে পুলিশ সুপারসহ সরকারের উর্ধতন মহলে ঘটনার বিচার দাবি করেন।

এতে আরো বিক্ষুব্ধ হয়ে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ পরদিন আলী আকবরকে না পেয়ে তার ছোট ভাই মুছা আকবর(৩৫)কে অপহরণ করে ক্রসফায়ারের নামে নৃশংসভাবে হত্যা করে।

নিহত মুছা আকবরের স্ত্রী শাহেনা আকতার বাদি হয়ে আজ বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (টেকনাফ-৩) আদালতে ওসি প্রদীপসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলার আবেদন করেছেন।

ক্রসফায়ারের নামে ‘সাহাব উদ্দীন’ নামের এক ব্যক্তিকেও হত্যার অভিযোগে আজ বুধবার একই আদালতে ওসি প্রদীপসহ ২৬ জনকে অভিযুক্ত করে আরো একটি মামলার আবেদন করেন নিহত সাহাবউদ্দিনের বড় ভাই হাফেজ আহামদ। দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে নিরীহ ব্যক্তিকে মাদক ব্যবসায়ী সাজিয়ে ‘ক্রসফায়ারে’ হত্যার অভিযোগ আনা হয় মামলায়।

বাদিপক্ষের আইনজীবী ও জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি এডভোকেট রিদুয়ান আলী সাংবাদিকদের জানান, একটি মামলায় হোয়াইক্যং ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মশিউর রহমানকে প্রধান, ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে ২য় এবং অন্য মামলায় এসআই দীপক বিশ্বাসকে প্রধান ও ওসি প্রদীপকে ৩নং আসামী করা হয়।

নিহত মুছা আকরের মামলার এজাহারে বাদি শাহেনা আকতার উল্লেখ করেন, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি টেকনাফ থানার একদল পুলিশ হোয়াইক্যং ইউনিয়নের খারাইঙ্গ্যা ঘোনায় নিহত মুছা আকবরের বড় ভাই আলী আকবরের বাড়ি পুড়িয়ে দেয়।

এই ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার জেলা শহরে এসে কক্সবাজার প্রেসক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পুলিশ সুপারসহ উর্ধতন মহলের কাছে ঘটনার বিচার দাবি করেন।

এতে ওসি প্রদীপ আরো ক্ষুব্ধ হয়ে ২৮ মার্চ রাতে আবু মুছাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়।পরে ক্রসফায়ার না দেয়ার কথা বলে মুছার পরিবারের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা দাবি করা হয় কিন্তু তিন লাখ দিতে সামর্থ্য হয় মুছার পরিবার। তিন লাখ টাকা নিয়েও ঐ দিন ভোরে মুছা আকবরকে ক্রসফায়ারের নামে গুলি করে হত্যা করা হয়।

বাদিপক্ষের আইনজীবী রিদুয়ান আলী বলেন, “ফৌজদারি মামলার এজাহারটি আমলে নিয়েছে আদালত এবং ঐ ঘটনা সংক্রান্ত অন্য মামলা আছে কি না তা আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে আদালতকে জানাতে টেকনাফ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছে।

অন্যদিকে নিহত সাহাব উদ্দীনের মামলার এজাহারে বাদি হাফেজ আহামদ উল্লেখ করেন, ২০১৯ সালের ১৭ এপ্রিল দুপুরে এসআই দীপক বিশ্বাসের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সাহাব উদ্দীনকে তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়।

পরে ক্রসফায়ার না দেয়ার কথা বলে তার পরিবারের কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করা হয় কিন্তু পরিবার ৫০ হাজার টাকা দেয়। আরো ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা না দেয়ায় ২০ এপ্রিল রাতে কাঞ্জরপাড়া ধানক্ষেতে ক্রসফায়ারের নামে সাহাব উদ্দীনকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

আদালত এ ফৌজদারি মামলার এজাহারটি আমলে নিয়েছে এবং ঐ ঘটনা সংক্রান্ত অন্য মামলা আছে কি না তা আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে আদালতকে জানাতে টেকনাফ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছে। দৈনিক আজাদী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!