নিউজ ডেক্স : কয়েকদিন ধরে ভোররাত ও সকালে চট্টগ্রাম মহানগরসহ আশেপাশের উপজেলায় ‘কুয়াশা’ পড়ছে। এমনকি ভোররাতে শীতও অনুভূত হচ্ছে। এমনটাই দাবি সাধারণ মানুষের। তবে আবহাওয়াবিদগণ বলছেন, এখনো শীতকালীন কুয়াশা পড়ছে না। যেটাকে কুয়াশা মনে হচ্ছে তা বাস্তবে বাতাসের সাথে মিশে যাওয়া ধুলোবালি। তাছাড়া চট্টগ্রামে শীতের আমেজ অনুভূত হতে পারে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহ বা আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, শীতের সময় তাপমাত্রা কম থাকে। এ সময় মাটিতে থাকা আর্দ্রতা উপরে উঠে গিয়ে তৈরি করে কুয়াশা। অর্থাৎ কুয়াশা সৃষ্টির জন্য তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতা গুরুত্বপূর্ণ। কুয়াশার জন্য বাতাসের আর্দ্রতা হতে হবে ৯০ শতাংশের উপর। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হতে হবে ১৫ থেকে ১৬ সেলসিয়াস। অথচ গতকাল সকালে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৬৩ শতাংশ এবং বিকালে ছিল ৬১ শতাংশ। এছাড়া গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার প্যারামিটারের হিসাবে গতকাল কুয়াশা পড়েনি। অথচ গতকাল ভোররাতে নগরী, হাটহাজারী, রাউজান, সীতাকুণ্ডসহ অনেক এলাকায় ভোরে কুয়াশা দেখার কথা জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ভোর রাতে দেখা যাওয়া হালকা কুয়াশা প্রসঙ্গে ব্যাখা দিয়ে তিনি বলেন, এটা আসলে কুয়াশা না। মূলত আশেপাশে যে ধুলোবালি আছে সেগুলো হালকা উপরে উঠে সাপপেন্ডেড এয়ার পার্টিকুলার হিসেবে জমা হচ্ছে। সেটাকে মনে হচ্ছে হালকা কুয়াশা।
তিনি বলেন, কুয়াশার জন্য বাতাসের আর্দ্রতা এবং তাপমাত্রা এ দুটো প্যারামিটার গুরুত্বপূর্ণ। কুয়াশার জন্য বাতাসের আর্দ্রতা হতে হবে ৯০ শতাংশের উপর। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হতে হবে ১৫ থেকে ১৬ সেলসিয়াস। এ প্যারামিটার অনুযায়ী এখন শীতকালীন কুয়াশা দেখা যাচ্ছে না। তাছাড়া শীতকালীন কুয়াশা তিন-চার-পাঁচ ঘণ্টার জন্য থাকে। এখন কিন্তু আধ ঘণ্টা-এক ঘণ্টার বেশি থাকছে না।
শীত আসতে বিলম্বের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এবং আশেপাশের অঞ্চলে উত্তর-পূর্ব থেকে যে পূবালী বাতাস আসার কথা সেটা এখনো কন্টিনিউ আসছে না। যখন পূবালী দিক থেকে আসা বাতাসটা কন্টিনিউ হবে তখনই শীতের আমেজ পুরোপুুরি পাব। এটার আপাতত সম্ভাবনা নেই। নভেম্বর মাসের শেষে বা ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে পূবালী বাতাসটা পাব। -আজাদী প্রতিবেদন