Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | আজ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন

আজ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন

image-5483-1543384736

নিউজ ডেক্স : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের আজ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। আজ প্রত্যাহার শেষে চূড়ান্ত প্রার্থীদের মাঝে আগামীকাল ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। আর প্রতীক বরাদ্দের সাথে সাথেই প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় শুরু হবে বহুল প্রতীক্ষিত নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। আর সেই সাথে প্রতিটি আসনে শুরু হবে মূল দলের প্রার্থীদের মধ্যে ভোট যুদ্ধ। গত ২ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে ১৬ আসনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে ১৩৪জন বৈধ প্রার্থী মাঠে ছিলেন। এদিকে নির্বাচন কমিশনে তিনদিনের আপিলে আরো ১১ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। সব মিলে চট্টগ্রামে ১৬ আসনে এখন ১৪৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মাঠে রয়েছেন।

নির্বাচন কমিশনের আপিলেও যাদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে তাদের অনেকেই উচ্চ আদালত যেতে পারেন। উচ্চ আদালতে আরো কেউ কেউ প্রার্থিতা ফিরে পেতে পারেন। এব্যাপারে চট্টগ্রাম জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান জানান, আজ সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত নগরীর ৬ আসনের প্রার্থীরা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নানের কার্যালয়ে তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন। অপরদিকে জেলার ১০ সংসদীয় আসনের প্রার্থীরা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেনের কার্যালয়ে গিয়ে তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন। প্রত্যাহারের পর ১০ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। গত ২ ডিসেম্বর বাছাইকালে চট্টগ্রামের দুই রিটার্নিং কর্মকর্তা ৪৬জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন। এই ৪৬ জনের মধ্যে ২৭ জন প্রার্থী নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন। আপিলে এই পর্যন্ত ১১ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।

নির্বাচন কমিশনের আপিলের প্রথমদিনে ৬ জন প্রার্থী প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। দ্বিতীয় দিনে ২জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। গতকাল আপিল শুনানীর শেষ দিনে ৩ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। চট্টগ্রাম-১মিরসরাই আসনের এখন চূড়ান্ত প্রার্থীরা হলেন-আওয়ামীলীগের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, বিএনপির উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আমিন, মনিরুল ইসলাম, ইসলামিক আন্দোলন বাংলাদেশের মো. সামসুদ্দীন, বিএনপির কামাল উদ্দিন আহম্মেদ, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, গণফোরামের নুর উদ্দিন আহমদ, ইসলামিক ফ্রন্টের মো. আবদুল মান্নান।

চট্টগ্রাম-২ ফটিকছড়ি আসনের চূড়ান্ত প্রার্থীরা হলেন-তরিকত ফেডারেশনের নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, স্বতন্ত্র আওয়ামীলীগের এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আতিক, বিএনপির নুরী আরা সাফা, ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, মো. আজিম উল্লাহ বাহার, আলহাজ্ব ছালাউদ্দিন, ইসলামিক ফ্রন্টের মীর মো. ফেরদৌস আলম, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির সৈয়দ সাইফুদ্দিন, বিকল্পধারার মাজহারুল হক শাহ, জাতীয় পার্টির জহুরুল ইসলাম রেজা।

চট্টগ্রাম-৩ সন্দ্বীপ আসনের চূড়ান্ত প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামীলীগের মাহফুজুর রহমান মিতা। বিএনপির সাবেক সাংসদ মোস্তফা কামাল পাশা। এছাড়াও আছেন ইসলামিক আন্দোলন বাংলাদেশের আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা মনসুরুল হক, বিএনপির মো. বেলায়েত হোসেন, মো. নুরুল মোস্তফা। এনপিপির মো. মোকতাদের আজাদ খান।

চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনের চূড়ান্ত প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, বিএনপির জসীম উদ্দিন সিকদার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আব্দুল আলী।

চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনীয়া-বোয়ালখালী একাংশ) আসনের চূড়ান্ত প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের ড. মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ, বিএনপির আবু আহমেদ হাসনাত, স্বতন্ত্র মো. কুতুব উদ্দিন বাহার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোহাম্মদ নিয়ামতুল্লাহ, এলডিপির মো. নুরুল আলম, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মো. আবু নওশাদ, জেএসডি’র মাহাবুবুর রহমান এনপিপির মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের আহমদ রেজা, বিএনপির মো. শওকত আলী নুর।

চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের চূড়ান্ত প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের মো. সামশুল হক চৌধুরী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুহাম্মদ দেলওয়ার হোসেন, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মো. মইন উদ্দিন চৌধুরী, বিএনপির গাজী মোহাম্মদ শাহজাহান ও মো. এনামুল হক, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এম এ মতিন, এলডিপির নাহিদ ফারহানা, বিএনএফ’র দীপক কুমার পালিত, জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ নুরুচ্ছফা সরকার, ও বাসদের সাফুদ্দীন মোহাম্মদ ইউনুচ।

চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনের চূড়ান্ত প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এম এ মতিন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. ইরফানুল হক চৌধুরী, বিএনপির মোস্তাফিজুর রহমান ও সরওয়ার জামাল নিজাম, গণফোরামের উজ্জ্বল ভৌমিক, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মৌলভী রশিদুল হক ও ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া একাংশ) আসনের চূড়ান্ত প্রার্থীরা হলেন-আওয়ামী লীগের মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী, এলডিপির ড. অলি আহমদ বীর বিক্রম, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের সিহাব উদ্দিন মো. আবদুস সামাদ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ দেলাওয়ার হোসেন ও মাওলানা জানে আলম নিজামী, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির আবদুল নবী, ত্বরিকত ফেডারেশনের মোহাম্মদ আলী ফারুকী, ন্যাপের মো. আলী নেওয়াজ খান, জাতীয় পার্টির আ জ ম. অলিউল্লাহ চৌধুরী মাসুদ, জাসদের সুযশময় চৌধুরী।

চট্টগ্রাম-১৫ সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের চূড়ান্ত প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামীলীগের আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন, স্বতন্ত্র জামায়াতের আ.ন. ম. শামসুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনের নুরুল আলম, গণফোরামের আবদুল মোমেন চৌধুরী, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ফজলুল হক, বিএনপির অধ্যাপক শেখ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।

চট্টগ্রাম-১৬ বাঁশখালী আসনের বৈধ প্রার্থীরা হলেন-আওয়ামীলীগের মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, বিএনপির জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, জাতীয় পার্টির মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, জামায়াতের মো. জহিরুল ইসলাম, স্বতন্ত্র বজল আহমদ, এলডিপি মো. কফিল উদ্দিন চৌধুরী, স্বতন্ত্র মনিরুল ইসলাম, ইসলামিক আন্দোলনের মাওলানা ফরিদ আহমদ, ইসলামিক ফ্রন্টের মোহাম্মদ মহিউল আলম চৌধুরী, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি(ন্যাপ) মোজাফ্‌ফর-এর আশীষ কুমার শীল।

চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে আছেন আওয়ামী লীগের দিদারুল আলম, বিএনপির মো. আসলাম চৌধুরী, স্বতন্ত্র সামছুল আলম হাসেম, জাতীয় পার্টির মো. দিদারুল কবির, স্বতন্ত্র আবুল বাশার মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, বিএনপির মো. ইসহাক চৌধুরী, বিএনপির এওয়াইবিআই সিদ্দিকী, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মো. মোজাম্মেল হোসেন ও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মুহাম্মদ আশরাফ হোসাইন।

চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে আছেন মহাজোট প্রার্থী জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, বিএনপির ব্যারিস্টার সাকিলা ফারজানা, ২০ দলীয় জোট মনোনীত কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, স্বতন্ত্র নাছির হায়দার করিম, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মো. নঈমুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনের মোহাম্মদ রফিক, বাংলাদেশ খেলাফতে মজলিসের শিহাবুদ্দিন, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের ছৈয়দ হাফেজ আহমদ, ইসলামী ঐক্যজোটের মঈন উদ্দিন রুহী ও খেলাফত আন্দোলনের মীর ইদরীস।

চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনে আছেন মহাজোট প্রার্থী মঈনু্‌উদ্দীন খান বাদল, বিএনপির এম মোরশেদ খান, এরশাদ উল্লাহ, আবু সুফিয়ান। স্বতন্ত্র হাসান মাহমুদ চৌধুরী, ইসলামী ফ্রন্টের সেহাব উদ্দিন মুহাম্মদ আবদুস সামাদ, জাতীয় পার্টির ফাতেমা খুরশীদ সোমায়া, মো. সেহাব উদ্দিন ও বাপন দাশগুপ্ত।

চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেন, মো. সামশুল আলম, ওয়ার্কাস পার্টির মোহাম্মদ আবু হানিফ, কমিউনিস্ট পার্টি চট্টগ্রামের সভাপতি মৃণাল চৌধুরী, ইসলামী ফ্রন্টের আবু আজম, ন্যাপের আলী নেওয়াজ খান, ইসলামিক ফ্রন্টের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ, খেলাফত মজলিসের মৌলভী রশিদুল হক (বিএসসি) ও ইসলামী আন্দোলনের মো. শেখ আমজাদ হোসেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মোরশেদ সিদ্দিকী ও ইসলামী ঐক্যজোট প্রার্থী মোহাম্মদ দুলাল খান।

চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং) আসনের প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের ডা. আফছারুল আমীন, বিএনপির আব্দুল্লাহ আল নোমান, মোশাররফ হোসেন দীপ্তি, বিএনএফ’র জিএমএম আতিউল্লাহ ওয়াসীম, বাংলাদেশ ওয়াকার্স পার্টির মো. হাসান মারুফ, স্বতন্ত্র (জামায়াতের) মোহাম্মদ শাহাজাহান চৌধুরী, এনপিপির কাজী মো. ইউসুফ আলী চৌধুরী, জেএসডি’র মো. আনিছুর রহমান, ইসলামী আন্দোলনের মো. জান্নাতুল ইসলাম, স্বতন্ত্র সাবিনা খাতুন ও বাসদের মো. মহিন উদ্দিন।

চট্টগ্রাম ১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে আছেন আওয়ামী লীগের এম এ লতিফ ও বিএনপির আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইসলামী আন্দোনের মো. লোকমান সওদাগর, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির অপু দাশগুপ্ত, জেএসডি’র ক্যাপ্টেন শহীদ উদ্দিন মাহবুব, খেলাফত মজলিসের মৌলভী রশিদুল বিএসসি, স্বতন্ত্র আবুল বাশার মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, ইসলামী ফ্রন্টের এম এ মতিন ও মো. জসিমউদ্দিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!