নিউজ ডেক্স : ১ জানুয়ারিই দশম শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীর হাতে রঙিন বই তুলে দিয়ে ‘বই উৎসব’ পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। রোববার দুপুরে রাজধানীর মাতুয়াইলে পাঠ্যপুস্তক ছাপার কাজে নিয়োজিত তিনটি প্রেস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ পাঠ্যপুস্তক নির্ধারিত স্কুলে পৌঁছে গেছে। অবশিষ্ট বই যথাসময়ে পৌঁছে দেয়া সম্ভব হবে।
২০১০ সাল থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের মাঝে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতি বছরই এ কার্যক্রম বাড়ছে। ২০০৯ সালে বাংলাবাজার থেকে পাঠ্যপুস্তক ছাপার কাজ শুরু হয়। সব শিশুর স্কুলে যাওয়া এবং বইপ্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য এ কার্যক্রম চলছে। প্রতি বছর সময়মত বিপুলসংখ্যক ছাত্রছাত্রীর হাতে পাঠ্যপুস্তক তুলে দেয়া বিশ্বে অতুলনীয় উদাহরণ।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ কাজে যাতে কোনো গলদ না থাকে, সেজন্য আমরা নিয়মিত তদারকি করছি। গত বছর ৩৩ কোটি ৩৭ লাখ ৪৭ হাজার ৯৭২টি বই ছাপা হয়েছিল। এবার ৩৬ কোটি ২১ লাখ ৮২ হাজার ২৮৫টি বই ছাপা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার ২ কোটি ৮৪ লাখ ৩৪ হাজার ২৭৩টি বেশি।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এবার ৫টি ভাষায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যপুস্তক ছাপানো হয়েছে। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য এবার ব্রেইল পদ্ধতিতেও বই ছাপা হয়েছে। আগে ছোট ছোট প্রেসে বই ছাপা হতো।
তিনি বলেন, বর্তমানে বিপুল পরিমাণ বই ছাপার কারণে বড় ধরনের ছাপাখানা গড়ে উঠেছে। তিন বছর আগেও এত বড় আকারের প্রেস ছিল না। পাঠ্যপুস্তক ছাপাকে কেন্দ্র করে এ শিল্পের বিকাশ হয়েছে। এ শিল্পে প্রচুর লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। বর্তমানে উন্নত মানের অটোমেটিক মেশিনে ছাপা ও বাঁধাইয়ের কাজ সম্পন্ন হচ্ছে।
পরিদর্শনকালে শিক্ষা সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব চৌধুরী মুফাদ আহমদ ও রুহী রহমান, জাতীয় কারিকুলাম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)-এর চেয়ারম্যান নারায়ন চন্দ্র সাহা এবং সদস্য ড. রতন সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শিক্ষামন্ত্রী মতিঝিলে এনসিটিবি কার্যালয়ে ময়ময়সিংহের ফুলবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক নিহত হওয়ার ঘটনায় জাতীয় শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যফ্রন্টের তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেন।