নিউজ ডেক্স : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাসপাতালের পাঁচতলা ভবনের ছাদ থেকে নবজাতককে নিচে ফেলে দিয়ে পরে মায়ের আত্মহত্যার ঘটনা মেনে নিতে পারছেন না কেউই। ওই গৃহবধূর গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের পুরাতন জেল রোডের ল্যাব এইড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও স্পেশালাইজড হাসপাতালের ছাদ থেকে নিজের শিশুসন্তানকে ছুড়ে ফেলেন মা সীমা আক্তার। তাতে শিশুটি মারা যায়। পরপরই ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
সীমা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের ফুলচং গ্রামের মনির মিয়ার স্ত্রী। মনির লেবানন প্রবাসী। এক বছর আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়।
মা-সন্তানের এমন মর্মান্তিক মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না কেউ। সীমার এমন আচরণের কারণ খুঁজছে পুলিশ।
ব্রাহ্মণবাড়িযা সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে সীমার লাশ তার বাবার বাড়ি আখাউড়া (দ.) ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রামে পারিবারিক কবরস্হানে নবজাতকসহ দাফন করা হয়। সীমা ওই গ্রামের সামায়ন মিয়ার মেয়ে। পুরো গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
সীমাদের বাড়িতে চলছে বিলাপ। স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে পরিবেশ। পরিবার লোকজন এ ঘটনার পেছনে কাদের প্ররোচনা রয়েছে তা উদঘাটন ও দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
কারও সঙ্গে অভিমান করে সীমা এমন কাণ্ড করেছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি।’ এ ঘটনায় লাইফ কেয়ার হাসপাতালের ব্যবস্হাপনা পরিচালক দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেন বলে জানান তিনি।
গত ১৬ অক্টোবর প্রসববেদনা নিয়ে ল্যাব এইড হাসপাতালের পাশের লাইফ কেয়ার শিশু ও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন সীমা। ওই দিন রাতে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে ছেলেসন্তান প্রসব করেন তিনি। শুক্রবার সকালে সীমা ও তার সন্তানের হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার কথা ছিল।