________ফিরোজা সামাদ ________
মরুদ্যানে বীথিকাবনে নীলাম্বরি রাতে
উলঙ্গ নৃত্যরত নিষ্ঠুর মানবতা
গগনবিদারী চিৎকারে নিকষ অন্ধকার বিদীর্ণ করে জ্বলজ্বল করছে সভ্যতার মুখোশের আড়ালে অাগ্নেয়াস্ত্র ও রকেট আলোকরশ্মি ||
নারী ও শিশুর কান্না যেনো দানবের
কর্ণকুহরে বেজে ওঠে সুরের ঝঙ্কার
গড়িয়ে যাওয়া রক্ত ওদের কাছে যেনো
চুমুকে চুমুকে কোল্ড ও হার্ড ড্রিংস
সেই রক্তের মাদকতায় আগুন ও মৃত্যুর
হোলিখেলায় নিমগ্ন মুখোশের সভ্যতা ||
হে বিধাতা! এ কোন ধরণী দিলে তুমি?
স্বজন হারিয়েও নির্বাক পুতুলের মতো
থাকতে হয় অন্তরের বাঁধন ছিন্ন করে
কোনো অলৌকিক ক্ষমতার জন্য
অনড় বিশ্বাসের ডানায় ভর করে আছে
অসহায় অাতঙ্কিত অগুনতি মুখ
সেদিন কতদূর যেদিন হৃদয় বুঝবে
হৃদয়ের কথন ??
কবে বন্ধুত্বের মেলবন্ধনে জাগরণ ঘটবে
আগামীর নতুন এক পৃথিবীর
রকেট অালোর ঝলকানির পরিবর্তে
জোছনা স্নাত রাতের শেষে সুবেহ-সাদিকে
আযান ধ্বনিত হয়ে স্বর্নালি অালোয়
ধুয়ে মুছে যাবে কুৎসিত পৃথিবী ||
দিনের পর রাত অাবার রাতের পর দিন
পেরিয়ে নিশ্চয়ই কোনো একদিন ভোরের
নির্মল আলো ফুটবে আরব ভূমিতে
মুক্ত স্বাধীন হবে ফিলিস্তিন, বসতি গড়বে
নিজ ভূমিতে এই প্রত্যাশা নিরবধি ||