Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই ভাইসহ ছয় বাংলাদেশি নিহত

সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই ভাইসহ ছয় বাংলাদেশি নিহত

নিহত (বাম থেকে) ইরশাদ ব্যাপারী, হুমায়ুন ব্যাপারী, কুব্বাত খান ও মিরাজ মন্ডল।

নিহত (বাম থেকে) ইরশাদ ব্যাপারী, হুমায়ুন ব্যাপারী, কুব্বাত খান ও মিরাজ মন্ডল।

নিউজ ডেক্স : সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই ভাইসহ ছয় বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে চারজন রাজবাড়ীর ও দুইজন ফরিদপুরের। শনিবার দুপুরে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় দুর্ঘটনায় নিহতদের বাড়িতে গিয়ে এ তথ্য জানা গেছে।

নিহতরা হলেন- রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের দরাপের ডাঙ্গি এলাকার আহেদ ব্যাপারীর ছেলে ইরশাদ ব্যাপারী (২৮) ও হুমায়ুন ব্যাপারী (২৫), ৫ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ উজানচর নাছির মাতব্বর পাড়ার ওসমান খানের ছেলে কুব্বাত খান (২৫) এবং দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের আনসার মাঝি পাড়ার সহের মন্ডলের ছেলে মিরাজ মন্ডল (২২)।

অপর দুইজন হচ্ছেন- ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের আরান দেওয়ান ডাঙ্গীর আরান দেওয়ানের ছেলে ইদ্রিস দেওয়ান (৩২) ও সদরপুর উপজেলার হাজীগঞ্জ এলাকার শহীদ বলে জানা গেছে।

নিহতদের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে একটি গাড়িতে নিহতরা কাজের জন্য দাম্মাম থেকে রিয়াদ যাচ্ছিলেন।

পথিমধ্যে সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে গাড়িটি। এ সময় গাড়িতে থাকা কয়েকজন ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং আরও কয়েকজন হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান। এর মধ্যে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের চারজন ও ফরিদপুরের দুইজন। গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের খবর জানতে পারেন নিহতদের পরিবারের লোকজন।

নিহত ইরশাদ ও হুমায়ুনের ভাই মঞ্জু ব্যাপারী জানান, তিন ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। গত বৃহস্পতিবার রাতে সড়ক দুর্ঘটনায় এক সঙ্গে তার দুই ভাই সৌদি আরবে মারা গেছে। কিন্তু তারা খবর পেয়েছেন শুক্রবার রাতে। দুই ভাইয়ের এক সঙ্গে মৃত্যুতে তাদের সব শেষ হয়ে গেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

মঞ্জু ব্যাপারী আরও জানান, এরশাদ ১০ থেকে ১২ বছর ধরে বিদেশ করলেও ছুটিতে এসে বিয়ে করে ৪ মাস আগে আবার সৌদি যান এবং হুমায়ুন কাজের জন্য ৭ মাস আগে যায় সৌদিতে। তাদের পরিবারের সবার এখন প্রশাসন ও সরকারের কাছে একটিই দাবি যত দ্রুত সম্ভব লাশ দেশে এনে তাদের কাছে ফিরিয়ে দেবেন।

অপরদিকে নিহত কুব্বাতের বাবা ওসমান খান জানান, সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় তার ছেলে মারা গেছেন। সে তিন ছেলের মধ্যে সবচেয়ে ছোট। ধারদেনা করে ৫ মাস আগে ছেলেকে সৌদি পাঠিয়েছিলেন পরিবারের সচ্ছলতা আনার জন্য। কিন্তু পরিনামে পাচ্ছেন ছেলের লাশ। তিনি ছেলের লাশটি দেশে আনতে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন।

উজানচর ইউনিয়র পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল হোসেন জানান, সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় তার এলাকার চারজন নিহত হয়েছে। যার মধ্যে একজনের বাড়ি তার ইউনিয়নের বর্ডার এলাকায়। অনেকেই দৌলতদিয়া ইউনিয়ন বলেন। নিহতদের মরদেহ দেশে আনতে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে যেভাবে সহযোগিতা করা প্রয়োজন তা করা হবে।

গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাসান হাবীব জানান, উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। তবে কতজন সেটা তিনি নিশ্চিত নন। খবর শুনে তিনি নিহতের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানিয়েছেন।

-জাগো নিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!