নিউজ ডেক্স : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার স্বার্থে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সেনাবাহিনী কোনো দলের বা পক্ষের নয়। সুতরাং এ নিয়ে কারো উচ্ছ্বসিত হওয়ার কারণ নেই।সোমবার সন্ধ্যায় আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রতিনিধি দলের প্রধান মো. আখতারুজ্জামান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি সর্বজনীন মর্যাদা রয়েছে। এ বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ বা বিতর্কিত করতে পারে এমন বক্তব্য দেয়া থেকে সবাইকে বিরত থাকতে হবে।’
মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘বিএনপি-ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে আমাদের দেশপ্রেমিক পেশাদার ও সুশৃঙ্খল সশস্ত্র বাহিনীকে নিয়ে যে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে সেটি খুবই আপত্তিজনক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’ সেনা মোতায়েনের মধ্যদিয়ে নির্বাচনী পরিবেশ আরও উন্নত হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সারাদেশে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর বিএনপি-জামায়াতের হামলা, দলীয় নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরে আখতারুজ্জামান বলেন, ‘সহিংসতার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সারাদেশে নির্বাচনী সহিংসতায় আওয়ামী লীগের ৫ জন নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। আড়াই শ’র বেশি নেতাকর্মীকে আহত করা হয়েছে। এ ছাড়া বেশ কিছু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে বলেও দাবি করা হয়। এসব হামলা-ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা শুধু আচরণবিধির লঙ্ঘন নয়, এটা ফৌজদারি অপরাধও।