নিউজ ডেক্স : সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ১৫ আসামীর বিরুদ্ধে অবশেষে আদালতে চার্জ গঠন করা হয়েছে।
আজ রবিবার (২৭ জুন) মামলাটির শুনানি শেষে আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল মামলাটি বিচারের জন্য সকল আসামীর বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের আদেশ দেন এবং আগামী ২৬, ২৭ ও ২৮ জুলাই টানা ৩ দিন মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের সময় ধার্য করেন।
একই দিন আসামী প্রদীপ কুমার দাশ, লিয়াকত আলী, নন্দদুলাল রক্ষিত, সাগর দেব, আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১০ জন আসামীর করা জামিনের আবেদনও আদালতে নাকচ করা হয়। গত ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এই অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. খায়রুল ইসলাম। চার্জশিট দাখিলকালে অভিযুক্তদের মধ্যে কন্সটেবল সাগর দেব ছাড়া বাকি ১৪ জন আসামী গ্রেফতার ছিল।
গত ২৪ জুন সাগর দেব আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করলে আজ রবিবার জামিন শুনানির দিন ধার্য করে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়। এর আগে গত ১৩ জুন আসামী প্রদীপ কুমার দাশ ও নন্দদুলাল রক্ষিত আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন।
এছাড়াও আরো ৭ জন আসামী আজ রবিবার আদালতে জামিন আবেদন করেন। আদালত সকল আবেদন শুনানি শেষে আজ রবিবার না মঞ্জুর করে দেন। সিনহা হত্যা মামলার চার্জ গঠনকালে সকল আসামীকে রবিবার আদালতে তোলা হয়।
এর আগে গত ১০ জুন ওসি প্রদীপকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কক্সবাজার জেলা কারাগারে নিয়ে আসা হয়। চট্টগ্রামে দুদকের একটি মামলায় হাজিরা দেওয়ার জন্য সাত মাস আগে তাকে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়।
পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট ফরিদুল আলম জানান, সিনহা হত্যা মামলার আসামীর বিরুদ্ধে ফৌজদারী দণ্ডবিধির ৩০২/২০১/১০৯/১১৪/১২০-খ/ ৩৪ ধারায় চার্জ গঠন করা হয়েছে। আজ রবিবার আসামীদের পক্ষে জামিন চাইতে প্রখ্যাত আইনজীবী রানা দাশগুপ্ত আদালতে হাজির ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩১ জুলাই ঈদুল আযহার আগের রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় ৫ আগস্ট নিহত মেজর (অব.) সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা করেন।
মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার খায়রুল ইসলামকে। মামলায় ওসি প্রদীপসহ ৭ আসামী আদালতে আত্মসমর্পন করেন। বাকি ২ জন পুলিশ সদস্য নয় বলে জানায় জেলা পুলিশ। পরে মামলার তদন্তে আসা আরো ৭ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ৮ জন পুলিশ সদস্য, ৩ জন এপিবিএন সদস্য ও ৩ জন স্থানীয় বাসিন্দা। আসামীদের মধ্যে ওসি প্রদীপ ও রুবেল শর্মা ছাড়া গ্রেফতার বাকি ১২ আসামী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। আজাদী অনলাইন