নিউজ ডেক্স : সিঙ্গাপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বাংলাদেশির আট রুমমেটকে কোয়ারেন্টাইনে (পৃথক স্থানে) রাখা হয়েছে। অন্যদিকে আক্রান্ত সেই বাংলাদেশির (৩৯) চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছে সিঙ্গাপুর সরকার। তার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর রাখছে সেখানে থাকা বাংলাদেশ হাইকমিশন। এজন্য সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে হাইকমিশন।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এ কথা জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান। ওই প্রবাসী বাংলাদেশিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করার খবর রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) জানা যায়। -জাগো নিউজ
সিঙ্গাপুরের সংবাদমাধ্যম জানায়, গত ১ ফেব্রুয়ারি তার শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ পাওয়া যায়। পরে ৩ ফেব্রুয়ারি তাকে সিঙ্গাপুরের জিপি ক্লিনিকে পাঠানো হয়। এর দুদিন পর ৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশি এই প্রবাসীকে চাঙ্গি জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে বেডোক পলিক্লিনিকে পাঠানো হয়। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে ওই বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে নিশ্চিত করেন চিকিৎসকরা। পরে তাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়।
সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে বাংলাদেশি এই প্রবাসী লিটল ইন্ডিয়ার মুস্তফা সেন্টারে যান। সেখানে গিয়ে কাকি বুকিতের দ্য লিও ডরমেটরিতে অবস্থান করেন তিনি।
হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আক্রান্ত বাংলাদেশির সঙ্গে তার রুমে থাকতেন আরও আটজন। ওই আটজনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। আর যে ডরমেটরিতে তিনি থাকতেন, সেখানকার বাসিন্দাদের কর্মস্থলে না গিয়ে আপাতত রুমে থাকতেই পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
হাইকমিশনার জানান, আক্রান্ত ব্যক্তির পরিচয় জেনেছে হাইকমিশন। কিন্তু তার ও পরিবারের নিরাপত্তার স্বার্থে পরিচয় প্রকাশ করা হচ্ছে না। দূতাবাস সিঙ্গাপুরে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রেখেছে। এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। আক্রান্ত বাংলাদেশির চিকিৎসাসহ সার্বিক ব্যাপারে সেখানকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে হাইকমিশন।
চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত সেদেশেই মৃত্যু হয়েছে ৯০৮ জনের। এছাড়া ফিলিপাইন ও হংকংয়ে মৃত্যু হয়েছে আরও দুই জনের। অর্থাৎ সবমিলিয়ে সোমবার পর্যন্ত এই ভাইরাস কেড়ে নিয়েছে ৯১০ জনের প্রাণ। এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ।
চীনের বাইরে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, জাপান, সিঙ্গাপুরসহ আরও ২৭টি অঞ্চল বা দেশে ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস। এক্ষেত্রে চীনের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা সিঙ্গাপুরে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৪৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে।