Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | সাতকানিয়ায় এএসআই’র বিরুদ্ধে কমিউনিটি পুলিশ সদস্যকে মারধরের অভিযোগ

সাতকানিয়ায় এএসআই’র বিরুদ্ধে কমিউনিটি পুলিশ সদস্যকে মারধরের অভিযোগ

232

নিউজ ডেক্স : চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সড়ক যানজটমুক্ত রাখতে দায়িত্বরত কমিউনিটি পুলিশকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে সাতকানিয়া থানার এএসআই মোবারক হোসেনের বিরুদ্ধে। শনিবার বিকেল ৪টার দিকে কেরানীট-বান্দরবান রাস্তার মাথা পুলিশ বক্স এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে দায়িত্ব পালন করছিলেন কমিউনিটি পুলিশ সদস্য মোহাম্মদ শহিদ ও রফিকুল ইসমলাম। এসময় মহসড়কের উপর একটি যাত্রীবাহী পিক-আপ দাঁড়িয়ে থাকলে কমিউনিটি পুলিশ সদস্য রফিক হাতে থাকা লাঠি দিয়ে পিক-আপে আঘাত করে দ্রুত স্থান ত্যাগ করতে বলেন।

লাঠি দিয়ে আঘাত করায় পিক-আপের চালক কমিউনিটি পুলিশ রফিকের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠি নিয়ে টানাটানি করে এক পর্যায়ে রফিকের শার্টের কলার ধরার চেষ্টা করে। বিষয়টি দূর থেকে আরেক কমিউনিটি পুলিশ সদস্য শহিদ বুঝতে পেরে দৌঁড়ে গিয়ে ক্ষিপ্ত চালকের হাত থেকে কমিউনিটি পুৃলিশ সদস্য রফিককে উদ্ধার করেন। শহিদ পিক-আপে আরো কয়েকটি আঘাত করে যাত্রী বসার লম্বাকৃতির আসনটি নিয়ে আসেন।

কমিউনিটি পুলিশ সদস্য গাড়ির সিট নিয়ে আসতে দেখে ট্রাফিক বক্সের সামনে দাঁড়ানো সাতকানিয়া থানার এএসআই মোবারক হোসেন দৌঁড়ে গিয়ে কমিউনিটি পুলিশ সদস্য শহিদ এবং রফিককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বেধড়ক পেটাতে শুরু করেন। এ সময় এএসআই মোবারক হোসেন কমিউনিটি পুলিশ দু’জনকে পিক-আপ চালকের পায়ে ধরে ক্ষমা চাইতে বলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানান, পুলিশ কর্মকর্তা মার সহ্য করতে না পেরে অবশেষে দু’কমিউনিটি পুলিশ সদস্য কাঁদতে কাঁদতে দৌঁড়ে পালিয়ে যান।

যোগাযোগ করা হলে কমিউনিটি পুলিশ সদস্য মোহাম্মদ শহিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে ট্রাফিক পুলিশের সহযোগি হিসেবে যানজট নিয়ন্ত্রণে কাজ করে আসছি। কোন চালক বাধা অমান্য করে মহাসড়কে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখলে গাড়ির সিট খুলে নিয়ে কিছুক্ষন শাস্তি দিই, যাতে ভয় পেয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। প্রতিদিনের ন্যায় আজও ভিআইপি যাতায়াতের কারনে যানজটমুক্ত করার জন্য গাড়ির সিট খুলে নিয়েছিলাম। যার কারনে সাতকানিয়া থানার এএসআই মোবারক হোসেন আমি সহ অন্য এক কমিউনিটি পুলিশকে বেধড়ক পেটায় এবং গালিগালাজ করে।

যোগাযোগ করা হলে সাতকানিয়া থানার এএসআই মোবারক হোসেন মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, কমিউনিটি পুলিশকে মারধর করতে যাব কেন? কমিউনিটি পুলিশ আমাদের অধীনে কাজ করে। তারা আমার সামনে একজন পিক-আপ চালককে গাড়ি না সরানোর কারনে পিটিয়ে গাড়ির সিট নিয়ে আসলে আমি তাদের ধমক দিয়েছি। গাড়ি চালক সেও একজন পাবলিক আমি কমিউনিটি পুলিশ দু’জনকে ধমক না দিলে পাবলিক যেভাবে উত্তেজিত হয়ে গিয়েছিল তা’ থামানো কঠিন হয়ে যেত। তাছাড়া থানার অফিসাররা যেখানে উপস্থিত আছেন সেখানে তারা কেন একজন গাড়ি চালককে পেটাবে? কোন ধরনের অসুবিধা হলে আমাদের জানাতে পারত।

সূত্র : সিভয়েস২৪ডটকম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!