নিউজ ডেক্স : নাটোরের সেই কলেজ শিক্ষিকা খায়রুন নাহারের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে গুরুদাসপুরে নিজ গ্রামের বাড়িতে তাকে দাফন করা হয়েছে। তিন সদস্য বিশিষ্ট গঠিত মেডিক্যাল টিম থেকে জানানো হয়েছে শ্বাসরোধের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (১৪ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় আশপাশের হাজারো মানুষ অংশ নেয়। এর আগে সন্ধ্যার দিকে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে পুলিশের সহায়তায় মরদেহ হস্তান্তর করেন তিন সদস্য বিশিষ্ট গঠিত মেডিক্যাল টিমের সদস্যরা।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মতিন বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হয়। সেখানে জানাজা শেষে তার মরদেহটি দাফন করা হয়েছে।
এদিকে গঠিত মেডিক্যাল টিমের প্রধান নাটোর সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. সামিউল ইসলাম শান্ত রাতে বলেন, শিক্ষিকা খায়রুন নাহারের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। শ্বাসরোধের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে ভিসেরা রিপোর্ট এলে আসল কারণ জানা যাবে।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ বলেন, শিক্ষিকা মৃত্যুর ঘটনায় তার চাচাতো ভাই ইউনুস আলী একটি ইউডি মামলা করেছেন। ঘটনাটি স্পর্শকাতর তাই গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শিক্ষিকার স্বামী মামুন পুলিশ হেফাজতে আছেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক খায়রুন নাহার। প্রথমে বিয়ে করেছিলেন রাজশাহীর বাঘা উপজেলায়। প্রথম স্বামীর ঘরে একজন সন্তানও ছিল। পারিবারিক কলহে সংসার বেশিদিন টিকিয়ে রাখতে পারেননি। তারপর কেটে যায় অনেক দিন। একপর্যায়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক) পরিচয় হয় ২২ বছরের যুবক মামুনের সঙ্গে এবং দু’জনের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। অবশেষে ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর তারা দু’জন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। প্রায় আট মাস আগে বিয়ে করলেও খবরটি ছড়িয়ে পড়ে জুলাই মাসের শেষ দিকে। -বাংলানিউজ