নিউজ ডেক্স : সাতকানিয়ায় আগুনে পুড়িয়ে স্ত্রীকে হত্যার মামলায় স্বামীকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া ওই ব্যক্তির নাম রবিউল আলম (২৯)। তিনি উপজেলার দক্ষিণ গারাংগিয়া কেরানী পাড়া এলাকার নুরুল আলম ওরফে নুরু সওদাগরের ছেলে।
শনিবার ভোররাতে লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের ফকিরা মুড়া এলাকা হতে রবিউলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। -ইত্তেফাক
পুলিশ জানায়, ২০১৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি স্ত্রী তছনুর আক্তার সুমিকে (২০) ঘুমন্ত অবস্থায় পুড়িয়ে মারার অভিযোগে একটি মামলা করেন নিহতের ছোটভাই রিয়াদ হোসেন। যার মামলা নং-১১; তারিখ:১২/২/১৯ইং। মামলায় নিহতের স্বামী সিএনজি অটোরিকশা চালক রবিউল আলমকে আসমি করা হয়। এরপর থেকে আত্মগোপনে ছিল রবিউল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লোহাগাড়া উপজেলা চুনতি ফকিরা মুড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে বোনের বাড়ি থেকে রবিউলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নিহত সুমির ছোটভাইয়ের অভিযোগ, পারিবারিক কলহের জের ধরে রবিউল ইসলাম তার বোনকে ঘুমন্ত অবস্থায় কেরোসিন ঢেলে গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। স্থানীয়দের সহযোগিতায় গুরুতর অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় সুমিকে উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা। পরে প্রথমে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করেন পরিবারের সদস্যরা। পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা বারডেম হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করতে হয় সুমিকে। বারডেমে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফেব্রুয়ারির ১৭ তারিখ রাত আড়াইটা নাগাদ মৃত্যু বরণ করেন সুমি।
এ বিষয়ে নিহত সুমির মা জেসমিন আক্তার বলেন, আমার মেয়েকে নির্মমভাবে আগুন দিয়ে হত্যা করেছে তার স্বামী। আমি তার সুষ্ঠ বিচার চাই।
সাতকানিয়া থানার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নজরুল ইসলাম গ্রেফতারের বিষয়ে বলেন, আসামি রবিউল ঘটনার পর থেকে আত্মগোপন করে ছিল। বহু কষ্ট আর সাধনার পর আজ ভোর ৪টায় লোহাগড়া উপজেলার চুনতি ফকিরামুড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।