
এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ার চুনতিতে ৪র্থ শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতলের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন। সোমবার (৮ নভেম্বর) রাতে ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযুক্তের নাম জাহাঙ্গীর আলম (৩০)। তিনি উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ পানত্রিশা ব্রহ্মণ পাড়ার শফিকুর রহমানের পুত্র।
ভিকটিমের মা জানায়, অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম তার চাচাতো দেবর। ঘটনারদিন গত ৩ নভেম্বর বিকেলে অভিযুক্তের ছোট বোনের সাথে তাদের বসতঘরে খেলাধুলা করছিল। তখন মেয়েকে চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে জাহাঙ্গীর আলম তার শয়নকক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে তার মেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য ভয়ভীতি দেখায়। গত ৫ নভেম্বর তার মেয়ে গুরতর অসুস্থ হয়ে পড়লে নিরূপায় হয়ে বিষয়টি তাকে খুলে বলে। পরবর্তীতে মেয়েকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে অভিযুক্ত ও তার পরিবারের লোকজন তাদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ঘরে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় সোমবার সকালে ঘর থেকে বের হয়ে প্রথমে মেয়েকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভিকটিমের অবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাপসাতালে প্রেরণ করা করেন।

স্থানীয়রা জানায়, জাহাঙ্গীর আলম একসময় সৌদি আরব ছিলেন। দেশে আসার পর কখনো সিএনজি চালিত অটোরিকশা, কখনো মোটরসাইকেল ভাড়ায় চালান। টেকনাফ থেকে বিয়ে করেছেন। সেই সুবাদে টেকনাফ থেকে বিভিন্ন সময় ইয়াবা নিয়ে আসেন। সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে করে বিভিন্ন এলাকায় ইয়াবা বিক্রি করে আসছেন। এতে কেউ প্রতিবাদ করলে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা জড়িয়ে এলাকার লোকজনকে হয়রানি করত।
অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে মুঠোফোনে জানান, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ জানান, স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Lohagaranews24 Your Trusted News Partner