ব্রেকিং নিউজ
Home | ব্রেকিং নিউজ | লোহাগাড়ায় বিপিএল খেলাকে ঘিরে চলছে জমজমাট জুয়ার আসর

লোহাগাড়ায় বিপিএল খেলাকে ঘিরে চলছে জমজমাট জুয়ার আসর

326

এলনিউজ২৪ডটকম : বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) ক্রিকেটকে ঘিরে চলছে রমরমা জুয়া খেলা। সারা দেশের ন্যায় লোহাগাড়ায়ও চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। টেলিভিশনের সামনে বসে হাজার হাজার ক্রিকেট জুয়ারু এ খেলায় মগ্ন হয়ে পড়েছে। এতে বড় ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, দিনমজুরসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ জড়িয়ে পড়ছে জুয়ার সাথে। লোহাগাড়ায় পাড়া মহল্লা, চায়ের দোকান, সেলুন, লন্ড্রি এমনকি গ্রামগঞ্জের উন্মুক্ত স্থানে চলছে জুয়ার আসর। মাঠের খেলাকে নিয়ে আসা হচ্ছে জুয়ার টেবিলে।

অনূসন্ধানে জানা গেছে, লোহাগাড়া বটতলী মোটর ষ্টেশন, পদুয়া বাজার, বড়হাতিয়া সেনেরহাট, মনুফকিরহাট, চুনতি ডেপুটি বাজার, আধুনগর খান হাট, পুটিবিলা এমচরহাট, কলাউজান বাংলাবাজার, হিন্দুরহাট, চরম্বা নয়াবাজার, নাফারটিলা বাজারসহ বিভিন্নস্থানে ক্রিকেট খেলা নিয়ে বাজির নামে চলছে জুয়ার আসর। কেন, এই বাজির খেলা ? সাকিব, মাশরাফি, মুস্তাফিজ, সৌম্য, তামিমের মতো ক্রিকেটারদের বল আর ব্যাট হাতে নজরকাড়া পারফরমেন্স দর্শকদের সামনে এনেছে আলাদা উন্মাদনা। হার-জিতের এই লড়াইয়ে ব্যক্তিগত পর্যায়ে ছোট ছোট বাজিতে শুরু হয়েছে বেশ আগে থেকেই। সাধারণ মানুষের এই আবেগকে পুঁজি করে সামাজিক পর্যায়ে এখন চলছে ক্রিকেট নিয়ে বাজির খেলা- জুয়া। এই বাজির পরিমাণ ১শ’ টাকা থেকে শুরু করে লাখ টাকা পর্যন্ত। এতে সর্বস্বান্ত হচ্ছে উপজেলার অনেক নিু আয়ের মানুষ। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) ঘিরে বাজি ধরা হচ্ছে ম্যাচের কোন একটি দলের জয়ী হওয়া, প্রতি বলে ছক্কা, চার, উইকেট নেওয়াকে কেন্দ্র করে।

এ ছাড়াও কোন ওভারে কত রান হবে, কত উইকেট পড়বে, শেষ বলে কত রান হবে, টসে কোন দল জিতবে, কোন খেলোয়াড় বেশি রান করবে, কে বেশি উইকেট পাবে, এমন নানা বিষয় নিয়ে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ক্রিকেট বাজিকর বলেন, আমাদের বাজি ধরার ধরণও ভিন্ন এবং তা হয় অনেক বড় অংকের টাকায়। মোবাইল ফোনে বাজির ধরার কথাগুলো রেকর্ড করে রাখি। মাসের কোন এক তারিখে টাকা লেনদেন করি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুই দশক ধরে দেশে যে ক্রিকেট উন্মাদনা দিন দিন বাড়ছে। এ উন্মাদনাকে এক শ্রেণীর জুয়াড়ি তাদের সুযোগ হিসেবে কাজে লাগাচ্ছে। প্রথমদিকে জুয়াড়িরা শহরকেন্দ্রিক তৎপরতা শুরু করলেও এখন তা ছড়িয়ে দিচ্ছে গ্রামে। অনেকটা প্রকাশ্যেই চলছে এ জুয়ার আসর। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা তেমন চোখে পড়ছে না।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, জুয়ার টাকা জোগার করতে ছিনতাইসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে। তাই প্রশাসনকে দিনের আলোতে চাক্ষুষ চলে আসা এইসব জুয়া বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। ক্রিকেট জুয়ার আসরে সর্বশান্ত হচ্ছে এলাকার চাকরিজীবী, দিন মজুরসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। বাজি ধরার প্রবণতা চলতে থাকলে সামাজিক অবক্ষয় ছাড়াও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে যুব সমাজ। তাই, যুগোপযোগী আইন তৈরির পাশাপাশি, সমাজে সচেতনতা বাড়ানোর তাগিদ সংশ্লিষ্টদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!