মারুফ খান : লোহাগাড়ায় ২০১৯ সালে পুকুরে ডুবে শিশুসহ ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুরো বছরের সংবাদগুলো পর্যালোচনা করে এ তথ্য পাওয়া যায়।
৩ মার্চ আমিরাবাদ রাজঘাটা মাদ্রাসার পুকুরে ডুবে মোঃ রায়হান (১৬) নামে এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছিল।
২ মে পশ্চিম কলাউজান বাংলা বাজারের দক্ষিণে বাড়ির পাশে পুকুরে ডুবে আবদুল্লাহ ওয়ায়েজ (৩) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছিল।
৪ মে চরম্বা ইউনিয়নের নোয়ারবিলা গ্রামে বাড়ি সংলগ্ন পুকুরে ডুবে জান্নাতুল ফেরদাউস তাহিয়াদ (৫) নামে এক কন্যাশিশু মৃত্যু হয়েছিল।
২৭ জুলাই লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নের সিকদার পাড়ায় নানা বাড়ির পুকুরে ডুবে মোঃ রাফি (৭) নামে ২য় শ্রেণীর এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছিল।
২২ আগষ্ট আধুনগর আখতারিয়া পাড়ায় বাড়ি সন্নিহিত পুকুরে ডুবে আবদুল্লাহ (২) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছিল।
৩০ সেপ্টেম্বর আমিরাবাদ হাছির পাড়ায় পুকুরে ডুবে মোহাম্মদ জিহাদ (৮) ও আবদুল্লাহ আল তাওহিদ (৪) নামে দুই সহোদরের মৃত্যু হয়েছিল।
৩০ অক্টোবর পদুয়া তেওয়ারীখিল এলাকায় বাড়ির পার্শ্ববর্তী পুকুরে ডুবে আল আমিন নামে আড়াই বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছিল।
২৪ নভেম্বর কলাউজান বাংলাবাজার খলিল সিকদার পাড়ায় পুকুরে ডুবে তাহির আক্তার (৪) নামে এক কন্যাশিশুর মৃত্যু হয়েছিল।
এক পরিসংখ্যানে দেখা যায় বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ১৫ হাজার শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। যা মোট শিশুমৃত্যুর ৪৩ শতাংশ। আর প্রতিদিন গড়ে ৪০টি শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। বলতে গেলে শিশুর অন্যতম ঘাতক এই পানিতে ডুবে মৃত্যু।
এই মৃত্যু রোধ করতে হলে সচেতনতা বাড়াতে হবে। সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে পরিবারকে। শিশুরা জলাধারের কাছে যাতে যেতে না পারে সে ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে। এ ব্যাপারে বাড়াতে হবে সামাজিক সচেতনতা। গণমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে যে সমস্ত শিশুরা সাঁতার শেখার উপযোগী হয়েছে তাদেরকে অবশ্যই সাঁতার শেখাতে হবে।
এগিয়ে আসতে হবে স্থানীয় প্রশাসন, এনজিওসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে। সাঁতার না জানার কারণেই অধিকাংশ শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। আমাদের দেশে সাঁতার শেখা বা শেখানোকে একটি অপ্রয়োজনীয় কাজ হিসেবে এখনো মনে করা হয়। এ ধরনের মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। শিশুরাই আগামী, তাদের রক্ষায় আরো যত্নশীল ও দায়িত্ববান হতে হবে এমনটাই মনের করছেন সচেতন মহল।