এলনিউজ২৪ডটকম: লোহাগাড়ার উপজেলা সদর বটতলী স্টেশন থেকে গত তিন দিন যাবত অপসারণ করা হচ্ছে না বর্জ্য। ফলে এসব বর্জ্য থেকে চড়াচ্ছে দূর্গন্ধ। দূর্ভোগ পোহচ্ছেন স্টেশনে আসা লোকজন। স্টেশন থেকে দ্রুত বর্জ্য অপসারণ করে ব্যবসার সুন্দর পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি ব্যবসায়ীদের। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে গিয়েও দেখা যায় বটতলী স্টেশনের বিভিন্নস্থানে বর্জ্যের স্তুপ।
জানা যায়, চলতি সনের ২৩ জানুয়ারি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সালাহ উদ্দিন হিরুকে আহবায়ক ও খোরশেদ আলমকে সদস্য সচিব করে লোহাগাড়া বটতলী শহর পরিচালনা কমিটি অনুমোদন দেন সাবেক সংসদ সদস্য এম. এ মোতালেব। কিন্তু গত ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের পর কমিটির অনেকে আত্মগোপনে চলে যান। এরপরও স্টেশনে বর্জ্য অপসারণের কার্যক্রম চলমান ছিল।
এদিকে, গত ২৯ আগস্ট লোহাগাড়া বটতলী শহর পরিচালনা কমিটি গঠনকল্পে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের নিয়ে এক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে ফজলুল হক আজাদকে আহবায়ক ও সরওয়ার আকতারকে সদস্য সচিব করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটির তালিকা প্রকাশ করা হয়। তবে ওই তালিকায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন স্বাক্ষর ছিল না। কিন্তু অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন কারণে কমিটির কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়নি।
ব্যবসায়ীরা জানান, আগে প্রতিদিন বটতলী স্টেশনের বর্জ্য অপসারণ করা হতো। কয়েকদিন যাবত বর্জ্য অপসারণ না করায় পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যে বিঘœ ঘটছে। স্টেশনে আসা লোকজন নাক চেপে ধরে চলাফেরা করছে। দ্রুত শহর পরিচালনা কমিটি গঠন করে বর্জ্য অপসারণসহ একটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন বটতলী শহর উপহার দেবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এমনটি প্রত্যাশা করছেন ব্যবসায়ীরা।
বটতলী স্টেশনের স্টার সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী সাত্তার সিকদার জানান, ব্যবসা উপযোগী পরিবেশ বজায় রাখতে বটতলী শহর পরিচালনা কমিটির গুরুত্ব অপরিসীম। ব্যবসায়ীদের স্বার্থে সকল ভেদাভেদ ভুলে স্টেশনের সবাইকে এক হওয়া দরকার। এছাড়া একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করে নির্বাচনের মাধ্যমে ব্যবসায়ী প্রতিনিধি নির্বাচিত করার সুযোগ দেয়ার আহবান জানাচ্ছি।
লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ ইনামুল হাছান জানান, বটতলী শহর পরিচালনা কমিটি গঠন করার উদ্যোগ ব্যবসায়ীরা নিবেন। ব্যবসায়ীরা যদি চান নির্বাচনের মাধ্যমে শহর পরিচালনা কমিটি করবেন, সেক্ষেত্রে প্রশাসন সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।