এলনিউজ২৪ডটকম: লোহাগাড়ার চরম্বায় শ্বশুরালয় থেকে মো. জাবেদ (২৩) নামে এক রোহিঙ্গা যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাইয়ার পাড়ার নুরের দোকান লক্ষিঝোড়া এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। জাবেদ একই এলাকার অটোরিক্সা চালক মো. ছিদ্দিকে জামাতা ও মায়ানমারের মো. সোলতানের পুত্র। তিনি পেশায় মৎস্য খামারের কর্মচারি ছিলেন।

জানা যায়, প্রায় আড়াই মাস পূর্বে স্থানীয় ছিদ্দিকে কন্যা মুন্নী আক্তারের সাথে রোহিঙ্গা যুবক জাবেদের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর তারা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য দেখা দেয়। প্রতিদিনের ন্যায় গত বুধবার রাতেও খামার থেকে শ্বশুর বাড়িতে এসে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন ওই যুবক। সকালে ঘুম থেকে উঠে বসতঘরের সামনে একটি গাছের ডালে গলায় লুঙ্গি পেঁছানো অবস্থায় তার মরদেহ দেখতে পান শ্বাশুড়ি খুরশিদা বেগম। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে থানা পুলিশকে খবর দেয়া হয়।
চরম্বা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাওলানা হেলাল উদ্দিন জানান, নিহত রোহিঙ্গা যুবক শ্বশুর বাড়িতে থাকতেন কিনা জানেন না। তবে ঘটনাস্থল চরম্বার গহীন পাহাড়ি এলাকায়। সেখানে এখনো শান্তি বাহিনী বিচরণ করেন।
লোহাগাড়া থানার এসআই মোজাম্মেল হক জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে রোহিঙ্গা যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। সুরতহাল লিপিবদ্ধ শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। মরদেহের শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে ওই যুবক গলায় ফাঁস দিয়েছেন। এই ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।