
উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের পুরান বিওসির পূর্বে সিকান্দার মুন্সি বাড়ি এলাকায় কালবৈশাখী ঝড়ে উপড়ে যাওয়া গাছ
এলনিউজ২৪ডটকম: কালবৈশাখীর তান্ডবে গাছ পড়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে প্রায় এক ঘন্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। ফলে শত শত আটকা পড়ে। দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে দূরপাল্লার যাত্রীদের। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন উপসড়কে গাছ পড়ে যানবাহন চলাচল দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। এছাড়া গাছ পড়ে ভেঙ্গে পড়েছে বৈদ্যুতিক খুঁটি ও তার। যার ফলে পুরো উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে।
জানা যায়, কালবৈশাখী ঝড়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সদর ইউনিয়নের পুরাতন থানা ও চুনতি ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সড়কের উপর ছোট-বড় গাছ এবং ডালপালা ভেঙ্গে পড়ে। এতে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বাতাসের গতি কমে যাওয়ার পর স্থানীয়রা এগিয়ে এসে সড়কের উপর পড়ে থাকা গাছপালা সরিয়ে নেয়। তবে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উপজেলার কোথাও বাড়িঘর ভেঙ্গে যাবার খবর পাওয়া যায়নি।

লোহাগাড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা রুবেল আলম জানান, বিকেল ৫টার দিকে খবর পেয়ে জাঙ্গালিয়া এলাকায় গিয়ে প্রায় ২০ মিনিট চেষ্টার পর মহাসড়কের উপর পড়ে থাকা গাছ সরিয়ে নিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।
চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি লোহাগাড়া জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. শাহজাহান জানান, কালবৈশাখি ঝড় থামার পর কর্মীরা বিদ্যুৎ লাইন স্বাভাবিক করতে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। ঝড়ের তান্ডবে ভেঙ্গে গেছে ১৫টি খুঁটি, তার ছিড়ে গেছে ৫০ স্থানে, প্রায় ৮০ স্থানে তারের উপর গাছ ভেঙ্গে পড়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। পুরো লাইন চেক করে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ লাইন স্বাভাবিক করতে কাজ করছেন কর্মীরা।
লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ ইনামুল হাছান জানান, ঝড়ে বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে বিভিন্নস্থানে বাতাসে বিদ্যুতের খুঁটি ও গাছ পড়ে তার ছিঁড়ে গেছে। এছাড়া অন্য কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কিনা খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।