এলনিউজ২৪ডটকম: লোহাগাড়ায় অসামাজিক কাজে বাধা দেয়ায় এলাকাবাসীকে হয়রানি ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৪ নাম্বার ওয়ার্ডের উকিলের পাড়ায় স্থানীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে এলাকার বহু নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।

এতে এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন স্থানীয় শফিউল করিম বাবুল জানান, স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল গফুর বিদেশ থাকাবস্থায় তার স্ত্রী বিগত ২ বছর আগে পরপুরুষের সাথে দীর্ঘদিন যাবত অবৈধভাবে মেলামেশা করে আসছে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর সমাজের লোকজন তাদের সামাজিকভাবে ওই অনৈতিক কাজ থেকে সরে আসার জন্য বলেন। কিন্তু বারবার নিষেধ করার পরও সমাজের লোকজনের কথা অমান্য করে এই অনৈতিক কাজ চালিয়ে আসছে। ফলে গত ২০ মার্চ সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর প্রায় ১ বছর আগে সমাজের লোকজন তাদের অনৈতিক কাজের কারণে সমাজ থেকে বের করে দেওয়ার দাবি জানালে অভিযুক্ত আবদুল গফুর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারের বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য মৌখিকভাবে অভিযোগ দেন।
পরে বৈঠকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে আবদুল গফুরের স্ত্রীকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে সমাজে বসবাসের অনুমতি দেয়। কিন্তু আবদুল গফুর বিদেশ থাকা অবস্থায় তার স্ত্রী লাকি আক্তার ও তার বড় মেয়ে পুণরায় অবৈধ কাজে লিপ্ত হয়। পরে আবদুল গফুর বিদেশ থেকে এসে বাড়িতে স্ত্রী, সন্তানকে দেখতে না পেয়ে তাদের খোঁজখবর করেন। একপর্যায়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতকানিয়া উপজেলার চূড়ামনি ঢালার বস্তি এলাকায় গিয়ে আবদুল গফুর ও প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় তার স্ত্রী ও বড় মেয়েকে অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকা অবস্থায় হাতেনাতে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে।
পরে স্থানীয় মসজিদ প্রাঙ্গনে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে এক সামাজিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সাক্ষী প্রমাণের ভিত্তিতে আবদুল গফুরের স্ত্রী অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকার সত্যতা পাওয়ায় ওই পরিবার থেকে সমাজ থেকে আলাদা করে দেয়া হয়। এরপর থেকে ওই পরিবার সমাজের লোকজনকে বিভিন্নভাবে হয়রানি ও হুমকি দিয়ে আসছে।