নিউজ ডেক্স : প্রথমবারের মতো জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হবে বুধবার। নিয়মানুসারে ২৬ ডিসেম্বর রাত ১২টায় থেমে গেছে সব প্রচারণা। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত জেলা ও উপজেলায় স্থাপিত কেন্দ্রে ভোট চলবে।
মঙ্গলবার দুপুরে বিভিন্ন উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে ব্যালট পেপার ও ব্যালট বক্সসহ যাবতীয় নির্বাচনী সরঞ্জামাদী পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রে কেন্দ্রে।
স্ব-স্ব কেন্দ্র্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং অফিসার এবং পুলিশের কর্মকর্তারা কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে নির্বাচনী সামগ্রী কেন্দ্রে নিয়ে যান।
এদিকে এরই মধ্যে ২২টি জেলা পরিষদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। ৫৩ জন সংরক্ষিত সদস্য ও ১৩৯ জন সাধারণ সদস্যও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
বিএনপি ও জাতীয় পার্টি অংশ না নেয়ায় এই নির্বাচনে মূলত লড়াই হচ্ছে শাসক দল আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যেই।
প্রতি জেলায় চেয়ারম্যান একজন, সাধারণ সদস্য ১৫টি ওয়ার্ডে ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৫ জন সদস্য নির্বাচিত হবেন। ৬৩ হাজারেরও বেশি ভোটারের এ নির্বাচনে জেলা ও উপজেলায় ওয়ার্ড ভিত্তিক ৯১৫টি কেন্দ্র রয়েছে।
জানা গেছে, তিন পার্বত্য জেলা বাদে বাকি ৬১ জেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন ১৪৬ জন। এর মধ্যে ২২ জেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন একক প্রার্থীরা। বাকি ৩৯ জেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন ১২৪ জন।
প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন ভোটের মাধ্যমে। জেলার অন্তর্ভুক্ত সিটি কর্পোরেশন (যদি থাকে), উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ভোটে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন।
এ হিসেবে স্থানীয় সরকারের ৪টি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৬৩ হাজার নির্বাচিত প্রতিনিধি এই নির্বাচনে ভোট দেবেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোটার রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদে। দেশের প্রায় ৪ হাজার ৫৭১টি ইউনিয়ন পরিষদে গড়ে ১৩ জন করে প্রায় ৬৩ হাজারের মতো নির্বাচিত প্রতিনিধি রয়েছেন।
একইভাবে ৪৮৮টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচিত প্রতিনিধি রয়েছেন প্রায় দেড় হাজার। ৩২০টি পৌরসভায় নির্বাচিত প্রতিনিধি রয়েছেন সাড়ে ৫ হাজার এবং ১১টি সিটি কর্পোরেশনে প্রায় সাড়ে ৫০০ নির্বাচিত প্রতিনিধি রয়েছেন যারা জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালের ১৫ ডিসেম্বর ৬১ জেলায় দলের জেলা পর্যায়ের নেতাদের প্রশাসক নিয়োগ দেয় সরকার। তাদের মেয়াদপূর্তিতে এবারই প্রথম জেলা পরিষদে নির্বাচন হচ্ছে।