আন্তর্জাতিক ডেক্স : ইরাকে মার্কিন দুটি সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ৮০ ‘মার্কিন সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইরানের রাষ্ট্রীয় এক টেলিভিশন। তবে ইরানের হামলায় হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি যুক্তরাষ্ট্র।
বুধবার ইরানের স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলের আইন আল আসাদ এবং কুর্দিস্তানের এরবিলে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে অন্তত ১৫টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান। ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিশোধ নেয়ার চেষ্টা করা হলে ওই অঞ্চলে মার্কিন মিত্ররা আক্রান্ত হবে বলে হুমকি দেয় ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলের খবরে বলা হয়েছে, ঘাঁটি লক্ষ্য করে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে পারেনি মার্কিন সেনাবাহিনী। বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সরঞ্জাম ও হেলিকপ্টার ভয়াবহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
বুধবার মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার পর ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ বলেন, এ অঞ্চলে কোনো ধরনের যুদ্ধ কিংবা উত্তেজনা চায় না তেহরান। আত্মরক্ষার অংশ হিসেবে ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টুইটে বলেছেন, অল ইজ ওয়েল। ইরাকে অবস্থিত দুটি সামরিক ঘাঁটিতে ইরান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। এখন ক্ষয়ক্ষতি এবং হতাহতের তথ্য মূল্যায়ন করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত যা হয়েছে, ভালো হয়েছে! বিশ্বের যে কোনো স্থানে আমাদের সবচেয়ে শক্তিশালী ও সুসজ্জিত সামরিক বাহিনী আছে!
বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সকালের দিকে তিনি ইরানের এ হামলার ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেবেন বলে টুইটে জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত ৩ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর বিদেশি সশস্ত্র শাখা কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে ড্রোন হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়। ইরানি শীর্ষ এ সেনা জেনারেল হত্যাকাণ্ড ঘিরে মধ্যপ্রাচ্যে বাজছে যুদ্ধের দামামা।