এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার যোগদানের প্রথম দিনই রাতে (৩০ মে গভীর রাতে) চরম্বা কালোয়ার পাড়ার গভীর অরণ্যে অভিযান চালানোর সংবাদ পাওয়া গেছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ইউএনও আবু আসলাম।
এ সময় পাহাড় কাটার সময় ২টি এস্কেভেটর জব্দ করা হয়। অভিযানের টের পেয়ে পাহাড় খেকোরা পালিয়ে যায়। জব্দ এস্কেভেটর দু’টি চরম্বা ইউপি চেয়ারম্যান মাষ্টার শফিকুর রহমানের জিম্মায় রাখা হয়েছে। তবে এস্কেভেটরের ব্যাটারী ২টি ইউএনও নিয়ে আসেন।
ইউপি চেয়ারম্যান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, তার বন্ধু জনৈক আবদুল মাবুদ চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ছাড়পত্র নিয়ে এ পাহাড় কাটছিলেন। তবে পাহাড় কাটার বিষয়টি চেয়ারম্যান অবহিত ছিলেন না।
এলাকাবাসীরা অভিযোগ করেছেন, কালোয়ার পাড়ার একটি প্রভাবশালী মহল রাজনৈতিক পৃষ্টপোষকতায় আশ্রয়ন প্রকল্প সংলগ্ন স্থানে পাহাড় কেটে সমান করছিল। তারা পাহাড়ের মাটি সরিয়ে সেখানে ইটভাটা স্থাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এলাকাবাসীরা এ বিষয়ে প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভী এমপি বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন।
ইউএনও জানিয়েছেন, তার দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে অবৈধভাবে পাহাড় কাটা ও ইটভাটা নির্মাণের ব্যবস্থা নিতে তিনি আইনগত কঠোররতা অবলম্বন করবেন। এলাকাবাসীরা মধ্যরাতে এ অভিযানকে অত্যন্ত ইতিবাচক বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, আবু আসলাম গত ২৯ মে লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং তিনি পাহাড় কাটার বিষয়টি বিভিন্ন সূত্রে অবহিত হন।