নিউজ ডেক্স : প্রেমের টানে টাঙ্গাইলের সখীপুরে চলে আসা মালয়েশীয় তরুণী জুলিজার মা ভিসা জটিলতার কারণে বাংলাদেশে আসতে দেরি করছেন। আজ রোববার বিকেলে মা ছামিনার সঙ্গে জুলিজার শেষ কথা হয়। তখন মা তাঁকে এ কথা জানিয়েছেন।
সখীপুরের কলেজছাত্র মনিরুলের প্রেমের টানে গত বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশে আসেন জুলিজা। বর্তমানে মনিরুলের মামা নওশের আলীর বাড়িতে আছেন ওই তরুণী।
নওশের আলী জানান, মেয়েটি আমার বাড়িতে আছে। তবে মাঝেমধ্যে কান্নাকাটি করছেন। আজ রোববার বিকেল চারটার দিকে জুলিজা তাঁর মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। জুলিজার মা জানিয়েছেন, ভিসা জটিলতার কারণে এখনো বাংলাদেশে আসার দিন নির্ধারণ করতে পারেননি। তবে ভিসা জটিলতা কাটলেই যত দ্রুত সম্ভব সখীপুরে এসে জুলিজাকে নিয়ে দেশে ফিরবেন তিনি।
মনিরুলের বাবা ইমান আলী জানান, ‘মেয়েটির সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ে না দেওয়ায় মেয়ের মা ও স্বামী আজগর আলী ফোনে আমাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। মেয়েটির মা বলেছেন, আবেগের বশে তাঁর মেয়ে এ দেশে চলে এসেছে।’
ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় থেকে প্রেমের সূত্র ধরে জুলিজা গত বৃহস্পতিবার রাতে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন। সেখান থেকে মা-বাবা ও বোনদের নিয়ে মনিরুল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে জুলিজাকে নিয়ে সখীপুরে নিজ বাসায় আসেন।
শুক্রবার রাতে মনিরুল-জুলিজার বিয়ের আয়োজন চলছিল। কিন্তু রাত ১১টার দিকে মালয়েশিয়া থেকে আজগর আলী নামের একজন মনিরুলকে ফোন করেন। তিনি নিজেকে বাংলাদেশি পরিচয় দিয়ে জুলিজাকে তাঁর স্ত্রী বলে দাবি করেন। আজগরের দাবি, আজগর-জুলিজা দম্পতির চারজন সন্তান আছে, জুলিজার বয়স ৩২। ওই ফোন পাওয়ার পর বিয়ের আয়োজন বন্ধ হয়ে যায়। জুলিজাকে পাঠানো হয় নওশের আলীর বাড়িতে।