নিউজ ডেক্স : বান্দরবানের ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তের ওপারে আজও গোলাগুলি হয়েছে। গতকাল রবিবার মধ্যরাত থেকে গোলাগুলির শব্দ বেড়ে যায়। আতঙ্কে ঘুমধুম ইউনিয়নে বসবাসকারী সীমান্তঞ্চলের অধিবাসীরা।
সীমান্তবাসীরা জানায়, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্ত এলাকায় কয়েকদিন বন্ধ থাকার ফের গোলাগুলি শুরু হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, সীমান্তের ৩৪, ৩৫ নম্বর সীমান্ত পিলার এলাকায় মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলি হচ্ছে। রবিবার মধ্যরাতে ফের গোলাগুলি শুরু হয়েছে। সীমান্ত জুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সীমান্তের নিরাপত্তায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে, আজ সোমবার (১০ অক্টোবর) বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু, বাইশফাড়ি, রেজু-আমতলী, ফাত্রাছিরি, তুইঙ্গাঝিরি সীমান্ত এলাকায় সীমান্ত পরিস্থিতি পরিদর্শনে যান বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ।
পরির্দশনকালে রেজু-আমতলী বিজিবি ক্যাম্প এলাকায় বিজিবি মহাপরিচালক সাংবাদিকদের বলেন, “সীমান্তের ওপার থেকে ছোড়া প্রত্যেকটি গুলির হিসাব বিজিবির কাছে রয়েছে। মর্টারশেল নিক্ষেপ, আকাশসীমা অতিক্রম এবং প্রত্যেকটা ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। মিয়ানমার কূটনৈতিকভাবে উত্তরও পাঠিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “সীমান্তের উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে চেষ্টা করা হচ্ছে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সাথে বিজিবির পতাকা বৈঠক করার। ইতিমধ্যে যোগাযোগও করা হয়েছে। খুব শীগগিরই হয়ত ব্যাটেলিয়ান পর্যায়ে দু’দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে সরাসরি সববিষয় উপস্থাপন করা হবে।” -আজাদী অনলাইন