Home | ব্রেকিং নিউজ | প্রাথমিকে ৬৫ হাজারেরও বেশি ‘হিসাব রক্ষক’ নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত

প্রাথমিকে ৬৫ হাজারেরও বেশি ‘হিসাব রক্ষক’ নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত

primary-new-2-20181014194023

>> নীতিগত সিদ্ধান্ত
>> চলতি অর্থবছরে আসতে পারে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
>> প্রতি বিদ্যালয়ে একজন করে হিসাব রক্ষক

নিউজ ডেক্স : সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘হিসাব রক্ষক’ কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ জন্য সব সরকারি প্রাথমিকে এ পদটি সৃষ্টি করা হবে। সব প্রক্রিয়া শেষে সারাদেশের ৬৫ হাজার ৯৯টি বিদ্যালয়ে হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করা হবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘হিসাব রক্ষকের পদ সৃষ্টির নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রধান শিক্ষক প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং বিদ্যালয়ে পাঠদান ও তদারকি আরও সক্রিয় করতে বিদ্যালয়ে একজন হিসাব রক্ষক প্রয়োজন। এ ব্যাপারে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করে কার্যক্রম চলবে।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে বর্তমানে ৬৫ হাজার ৯৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে নতুন জাতীয়করণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২৬ হজার ১৫৯ টি এবং পরীক্ষণ বিদ্যালয় ৬১টি। এসব স্কুলে একজন করে ‘ হিসাব রক্ষক’ নিয়োগ দেয়া হবে। এ হিসাবে সারাদেশে ৬৫ হাজার ৯৯ জন ‘ হিসাব রক্ষক’ নিয়োগ পাবেন।

তবে কবে নাগাদ ‘হিসাব রক্ষক’ পদে নিয়োগ দেয়া হবে তা এখনও নির্ধারিত হয়নি। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, পদ সৃজন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনসহ অন্যান্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বেশ সময় লাগবে। চলতি অর্থবছরে ‘হিসাব রক্ষক ’ পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়ার চেষ্টা করা হবে। একজন মানসম্পন্ন ‘হিসাব রক্ষক’ নিয়োগ দেয়া হলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আয়-ব্যয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা-জবাবদিহি আরও নিশ্চিত হবে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উপর চাপ কমবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব ধরনের হিসাব সংরক্ষণ ও পরিচালনাসহ বিদ্যালয়ের দাফতরিক সব কাজ এককভাবে প্রধান শিক্ষককে দেখতে হয়। এ ছাড়া সরকারের নানা ধরনের নির্দেশনামূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকার কারণে বিদ্যালয়ের পাঠদান পরিচালনা-তত্ত্বাবধান-সমন্বয় সঠিকভাবে করতে পারছেন না প্রধান শিক্ষকরা। শুধু প্রধান শিক্ষক নন সিনিয়র শিক্ষকরাও এ কাজে প্রায় সময় ব্যস্ত থাকতে হয়। তাই শিক্ষকদের পাঠদানে আরও মনোনিবেশ করাতে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

মন্ত্রণালয় ও ডিপিই সূত্র জানান, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষার স্তর নির্ধারণ করা হয়েছে শিক্ষানীতিতে। সরকারের নতুন মেয়াদে এটি শতভাগ কার্যকর করা না গেলেও এর প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। তাই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকনির্ভর হিসাব সংরক্ষণ-পরিচালনা সমীচীন হবে না। এ ছাড়া এখন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনেক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে। এ সবের সঠিক হিসাব সংরক্ষণ বড় প্রশ্নে মুখে পড়ছে। অনেক বিদ্যালয় থেকে হিসাব সংরক্ষণে নানা ধরনের জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে। তাই একজন যোগ্য মানসম্পন্ন ‘ হিসাব রক্ষক ’ জরুরি হয়ে পড়েছে। এসব বিবেচনায় দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘হিসাব রক্ষকের পদ সৃষ্টির কথা বিবেচনা করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) শর্তানুসারে মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে মানসম্পন্ন প্রাথমিক শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। সরকার এ লক্ষ্য অর্জনে বিগত বছরগুলোর চাইতে এখন অতিমাত্রায় স্পর্শকাতর। প্রাথমিক শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে বেশকিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তার মধ্যে ‘ওয়ান ডে ওয়ান ওয়ার্ড ’ এবং প্রাথমিকে গণিত অলিম্পিয়ার্ড চালু অন্যতম। এসব কারণে প্রধান শিক্ষককে পাঠদান নিশ্চিত করতে আরও বেশি মনোযোগী করতেই ‘হিসাব রক্ষকের’ পদ সৃষ্টির নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!