নিউজ ডেক্স : সাতকানিয়ায় বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে গিয়ে পুকুরের পানিতে ডুবে এ. এইচ. এম. রেজাউল করিম (৫৪) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৫ জুলাই) বিকালে সাতকানিয়া সরকারি কলেজের পুকুরে এ ঘটনা ঘটে। তিনি সাতকানিয়া সরকারি কলেজের অফিস সহায়ক ও কক্সবাজারের মহেশখালীর হোয়ানক পানির ছড়ার মৃত মাস্টার মো. ইব্রাহিম খলিলের পুত্র।
জানা যায়, বিকেলে কলেজের পুকুরের ঘাটে বসে বড়শি দিয়ে মাছ ধরছিলেন রেজাউল। সে পুকুরের ঘাট থেকে অন্তত ৩০ ফুট দুরে পানিতে ডুবে যেতে দেখে লোকজন সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পুকুর থেকে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম জানান, সাতকানিয়া সরকারি কলেজের পুকুরে বড়শি দিয়ে মাছ ধরার সময় কলেজের অফিস সহায়ক ডুবে যাওয়ার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। তাকে পুকুর থেকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করি। রেজাউল করিম পুকুর ঘাটে বসে বড়শি দিয়ে মাছ ধরলেও তাকে উদ্ধার করা হয়েছে ঘাট থেকে অন্তত ৩০ ফুট দূরে। সেখানে পানির উচ্চতা ছিল ১০ ফুটের মতো। তিনি ঘাট থেকে এতো দূরে কিভাবে গেলেন তা জানা যায়নি।
সাতকানিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, ধারণা করা হচ্ছে রেজাউল করিমের হাত থেকে চিপটি পড়ে যাওয়ায় পুকুরে নেমেছিলেন। তিনি ডুবে যাচ্ছে দেখে কলেজ অফিস থেকে অন্যরা এগিয়ে আসেন। ততক্ষণে রেজাউল পানিতে ডুবে যান। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন পুকুর থেকে তাকে উদ্ধারে করেন। তাকে উদ্ধারের সময় মাছসহ বড়শিটিও উদ্ধার করা হয়েছে। বড়শিতে মাছ ধরার পর তিনি পুকুরে ঝাঁপ দিয়েছেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে। নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় সাতকানিয়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।