নিউজ ডেক্স : পাহাড়ে থামছে না মৃত্যুর মিছিল । চলতি বছরে পাহাড়ে ঘটেছে একাধিক সংঘাতের ঘটনা। একের পর হত্যাকাণ্ডে অশান্ত পাহাড়। গতকাল সোমবার রাঙামাটির বাঘাইছড়ির মাচালাং এলাকায় ঘটলো আরেকটি ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড। নির্বাচন শেষ করে ফেরার পথে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ৭ জন মারা যায়। ধারণা করা হচ্ছে ,উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এত বড় হত্যাকান্ডের ঘটনায় পাহাড়ে উদ্বেগ উৎকন্ঠা বেড়েছে ।
এর আগে চলতি মাসের ১৫ মার্চ খাগড়াছড়ির পানছড়িতে দুর্বৃত্তের গুলিতে বিনাশন চাকমা নামে এক ইউপিডিএফ কর্মী নিহত হয়। সাংগঠনিক কাজে গণসংযোগ করার সময় তাকে সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করে। চলতি মাসের ৭ তারিখ রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে চিক্কোধন নামে এক ইউপিডিএফ (প্রসীত) নেতাকে খুন করা হয়।
একের পর এক ধারাবাহিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সহিংস হয়ে উঠছে পার্বত্য চট্টগ্রাম । এছাড়া ঘটেছে অপহরণের ঘটনাও। ১৪ জানুয়ারি খাগড়াছড়ির রামগড়ে জেএসএস (এমএন লারমা) এর নেতা মোহন ত্রিপুরা হত্যাকাণ্ডের রেশ না কাটতেই খুন হন ইউপিডিএফ এর সাবেক কর্মী পিপলু ত্রিপুরা (রনি)। এর আগে ৪ জানুয়ারি রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে এক জেএসএস (এমএন লারমা) নেতা বসু চাকমাকে খুন করা হয়। এছাড়া ২৯ জানুয়ারি রাঙামাটির লংগদুতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে পবিত্র চাকমা নামে এক ইউপিডিএফ নেতা নিহত হন। এই নিয়ে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে গত তিন মাসে ১৮ জন মারা যায়। এরা সকলেই আঞ্চলিক সংগঠনের নেতা কর্মী। তবে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় দুবৃর্ত্তের গুলিতে নিহতদের কেউ রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত নন। ফলে সাধারণ মানুষের মৃত্যুতে ক্ষুব্ধ পাহাড়ের সাধারণ মানুষ।
এর আগে ২০১৮ সালে ২৪ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ির পানছড়িতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুইজন প্রাণ হারান। ওই বছর (২০১৮ সালে) আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ৪৬ জন প্রাণ হারান। এর মধ্যে ১৮ আগস্ট খাগড়াছড়ির স্বনির্ভর এলাকায় ৬ জন এবং খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি সড়কে কেঙ্গালছড়ি এলাকায় ব্রাশফায়ারে ৫ জন মারা যায়। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে এই পর্যন্ত ৬৩ মারা যায়।