নিউজ ডেক্স : সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের পাঁচ বছর পেরিয়ে গেছে।২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি নিজ বাসায় খুন হন এই দম্পত্তি। এ পাঁচ বছরে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৪৫ বার সময় নিয়েছে তদন্ত সংস্থা। মামলাটি ‘সর্বোচ্চ গুরুত্ব’ দিয়ে তদন্ত করা হলেও হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি তদন্ত সংস্থা। আটকে রয়েছে সাগর রুনি হত্যার রহস্য উদঘাটন।
সাগর-রুনি হত্যার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে হত্যাকারীদের ধরার নির্দেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন। অপরদিকে মামলার তদন্ত সংস্থা বারবার বলছেন মামলাটি ‘সবোর্চ্চ গুরুত্ব’ দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। রহস্য উদঘাটন করতে আর কত দিন সময় লাগবে তাও জানেন না তদন্ত সংস্থা র্যা ব। পাঁচ বছরেও হত্যার রহস্য উদঘাটন না হওয়ায় হতাশায় সাগর-রুনির পরিবার।
সর্বশেষ ৮ ফেব্রুয়ারি মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তদন্তকারী সংস্থা র্যা ব প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম মাজাহারুল ইসলাম তদন্ত কর্মকর্তাকে আগামী ২১ মার্চ অগ্রগতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তলব করেন। র্যা বের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান জাগো নিউজকে বলেন, সাগর-রুনি হত্যা মামলাটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তবে তদন্তে আর কতদিন সময় লাগবে তা বলা যাচ্ছে না।
মামলার বাদী রুনির ভাই নওশের আলম রোমান বলেন, মামলার পাঁচ বছরেও তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না হওয়ায় হতাশায় রয়েছে আমাদের পরিবার। আমাদের পরিবার চায় এ হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার। আমরা বিচারের আশায় পথ চেয়ে আছি। জানি না কবে পাব এ হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সারোয়ার ওরফে সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন নাহার রুনা ওরফে মেহেরুন রুনি দম্পতি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় খুন হন। খুন হওয়ার পর রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই)। চারদিন পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে ডিবি রহস্য উদ্ঘাটনে ব্যর্থ হয়। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র্যা বের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৪৫টি ধার্য তারিখ পার হয়েছে।
মামলায় আটজনকে বিভিন্ন সময় গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে মিন্টু, কামরুল হাসান, বকুল মিয়া, রফিকুল ইসলাম আবু সাঈদ ও এনাম আহম্মেদ কারাগারে। পলাশ রুদ্র পাল ও তানভীর রহমান হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন।