নিউজ ডেক্স : চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। যুবকের হামলা থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করতে গিয়ে আহত হয়েছেন আরো দুই নারী। হামলাকারীর ছুরির আঘাতে এক শিশুও আহত হয়েছে। ঘটনার পর পরই এলাকাবাসী হামলাকারী যুবককে আটক করে পুলিশে দেয়।
বাঁশখালীর গণ্ডামারা ইউনিয়নের শীলকূপ দাসপাড়া এলাকায় আজ (সোমবার) সকাল নয়টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। নিহত নারীর নাম ফাতেমা বেগম। তিনি এলাকায় কবিরাজি চিকিৎসা করতেন।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল কবির জানান, এহসান নামের এক যুবক আজ সকালে ডাব খাওয়ার কথা বলে ফাতেমা বেগমের ঘরে প্রবেশ করে। ঘরে ঢুকে সে ফাতেমা বেগমকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। ফাতেমা বেগমের আর্তচিৎকারে পাশের দুই মহিলা তাকে বাঁচাতে এসে হামলার শিকার হন। পছন্দের মেয়েকে বশে আনতে কবিরাজি তাবিজে কাজ না হওয়ায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এতে এহসান ফাতেমা বেগমের শিশুকন্যা বৃষ্টিকে কুপিয়ে আহত করে। স্থানীয় লোকজন এহসানকে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে। সে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানিয়েছে যে, কবিরাজি চিকিৎসায় কাজ না হওয়ায় তিনি ফাতেমাকে হত্যা করেছেন।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক এএসআই শীলব্রত বড়ুয়া বলেন, সোমবার সকালে ওই যুবক ফাতেমার ঘরে ঢুকে তাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। সে সময় জখম হয় তার মেয়ে বৃষ্টি। প্রতিবেশী দুই নারী তাদের উদ্ধারে এগিয়ে গেলে তাদেরও কুপিয়ে আহত করা হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে চিকিৎসক ফাতেমাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি জানান, হাসপাতালে ভর্তি আছে ফাতেমার মেয়ে বৃষ্টি, প্রতিবেশী রাবেয়া বেগম ও জান্নাতুল ফেরদৌস।
এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানার ওসি শফিউল কবির বলেন, ‘ঘটনার পরপরই খবর পেয়ে সেখানে গিয়েছি। হামলার পরপরই এলাকার লোকজন এহসানকে আটকে পুলিশকে জানায়। তাকে আটক করে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ফাতেমার দেয়া তাবিজে কাজ না হওয়ায় সে হামলা চালায় বলে পুলিশকে জানিয়েছে। ঘটনার ব্যাপারে একটি হত্যা মামলা রুজু হয়েছে। আজাদী অনলাইন