Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | নৌবাহিনীতে যুক্ত হবে রিসার্চ ভেসেল-অ্যান্টি সাবমেরিন হেলিকপ্টার : প্রধানমন্ত্রী

নৌবাহিনীতে যুক্ত হবে রিসার্চ ভেসেল-অ্যান্টি সাবমেরিন হেলিকপ্টার : প্রধানমন্ত্রী

pm-20191222131926

নিউজ ডেক্স : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু দেশের প্রয়োজনে একটি আধুনিক ও শক্তিশালী নৌবাহিনী গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন। সেই মহান প্রত্যয়ের আলোকেই বর্তমান নৌবাহিনীকে আধুনিক ও ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন, যুদ্ধজাহাজ সংগ্রহ এবং বিদ্যমান জাহাজগুলোর অপারেশনাল দক্ষতা বৃদ্ধির বহুমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।’

রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় চট্টগ্রামে বাংলাদেশ নেভাল একাডেমিতে মিডশিপম্যান ২০১৭/এ ব্যাচ ও ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসার ২০১৯/বি ব্যাচের নবীন অফিসারদের শীতকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে নৌবাহিনীতে দুটি সাবমেরিন সংযোজনের মাধ্যমে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ নেভাল একাডেমিতে চালু হয়েছে উন্নত প্রশিক্ষণ সুবিধা সম্পন্ন আন্তর্জাতিক মানের সুবিশাল বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স।’

আধুনিক এ প্রশিক্ষণ সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে সমুদ্রসীমায় সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নবীন কর্মকর্তাদের আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নৌবাহিনীর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে চীন থেকে দুটি ফ্রিগেট শিগগিরই নৌবহরে যুক্ত হবে। এছাড়া উল্লেখযোগ্য সংখ্যক করভেট, মাইনহান্টার, ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ভেসেল ও সেইলিং শিপসহ বিভিন্ন জাহাজ ক্রয় ও নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নেভাল এভিয়েশনের জন্য মেরিটাইম পেট্রল এয়ারক্রাফট, অ্যান্টি সাবমেরিন হেলিকপ্টার ও এমআরএমপিএ (লংরেঞ্জ মেরিটাইম পেট্রল এয়ারক্রাফট) ক্রয়ের পরিকল্পনা রয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটি শক্তিশালী নৌবাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে মিশাইল, আরএফএফ সিস্টেম ইত্যাদিসহ আধুনিক যুদ্ধ প্রযুক্তি সংযোজনের কাজও চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সর্ববৃহৎ ঘাঁটি ‘বানৌজা শেরে-ই-বাংলা’ ও ‘বানৌজা শেখ হাসিনা’ ঘাঁটির কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।’

এ সময় প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘নবীন কর্মকর্তারা নেভাল একাডেমি থেকে অর্জিত জ্ঞান যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে নিজেদের যোগ্য কর্মকর্তা হিসেবে গড়ে তুলবে এবং ভবিষ্যৎ কর্মজীবনে এ প্রশিক্ষণ কাজে লাগিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা ও অগ্রগতির পথে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবে।’

রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজে আরও উপস্থিত ছিলেন তিন বাহিনীর প্রধান, নৌ সদর দফতরের পিএসও, সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর আঞ্চলিক অধিনায়ক। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দেশি বিদেশি কূটনীতিক, সামরিক- বেসামরিক কর্মকর্তা ও শিক্ষা সমাপনী ব্যাচের অভিভাবকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!