ধর্ম ডেস্ক : নামাজ মানুষের জন্য ফরজ ইবাদত। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয় নামাজ অশ্লীল ও ফাহেশা তথা অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে।’ অন্য আয়াতে যথা সময়ে নামাজ আদায়ের ব্যাপারে বিধি আরোপ করেছেন। নামাজ প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে গোটা কুরআনের অসংখ্য জায়গায় জোর নির্দেশ প্রদান করেছেন।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘নামাজ হলো ঈমানদার ও কাফেরের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয়কারী।’ অন্য হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজকে ছেড়ে দিল তবে সে কুফরি করলো।’
এ কারণেই কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম নামাজের হিসাব গ্রহণ করা হবে বলেও বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা করেছেন। তাই যে ব্যক্তি নামাজের হিসাব সহজে দিতে পারবে; তার অন্যান্য হিসাবগুলোও তার জন্য সহজ হয়ে যাবে।
নামাজ পরিত্যাগের কারণে মানুষ তাঁর দুনিয়ার জীবনে, মৃত্যুকালে এবং পরকালের প্রতিটি পদক্ষেপে কষ্ট ও লাঞ্ছনার শিকার হবে। নামাজ পরিত্যাগকারী দুনিয়ার মারাত্মক ক্ষতিগুলোরে কয়েকটি সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো-
বেনামাজির দুনিয়ার জীবনের কষ্ট
>> আল্লাহ তাআলা নামাজ ত্যাগকারীকে দুনিয়ার জীবনে সব কাজের বরকত থেকে মাহরূম করেন।
>> নামাজ ত্যাগকারী ব্যক্তির চেহারায় কোনো নূর বা উজ্জ্বল্য থাকে না।
>> যে ব্যক্তি নামাজ ত্যাগ করে ওই ব্যক্তি দুনিয়ার অন্যান্য ভালো কাজের কোনো পুরস্কারও পাবে না।
>> নামাজ ত্যাগকারী ব্যক্তির জন্য কোনো লোক দোয়া করলে, ওই ব্যক্তির জন্য দোয়াকারী দোয়া বা কল্যাণ কামনা কোনো কাজে আসবে না।
>> সর্বোপরি নামাজ পরিত্যাগকারী ব্যক্তি দুনিয়ার প্রতিটি পদক্ষেপেই আল্লাহ তাআলা সব সৃষ্টিজীবের কাছে ঘৃণিত হবে। কোনো সৃষ্টিজীবই তাকে পছন্দ করে না।
পরিশেষে…
উল্লেখিত বিষয়গুলো লাভ করা প্রতিটি মুসলমানের জন্য আবশ্যক। দুনিয়ার কল্যাণ লাভই পরকালে মুক্তি লাভের একমাত্র মাধ্যম।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে দুনিয়ার কষ্ট ও লাঞ্ছনা থেকে মুক্ত রেখে তাঁর নৈকট্য অর্জনে নিয়মিত ও সময়মতো নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।