ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | নগরীর বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন যাচ্ছে আন্ডারগ্রাউন্ডে

নগরীর বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন যাচ্ছে আন্ডারগ্রাউন্ডে

নিউজ ডেক্স : চট্টগ্রামে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার পাশাপাশি সঞ্চালন ব্যবস্থার উন্নয়নে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) ১ লাখ ৩২ হাজার ভোল্টের আন্ডারগ্রাউন্ড (ভূ-গর্ভস্থ) ক্যাবল লাইন স্থাপনের কাজ করছে।

বর্তমানে কালুরঘাট থেকে মদুনাঘাট পর্যন্ত ৭ দশমিক ১ কিলোমিটার এলাকায় শতভাগ আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন স্থাপনের কাজ চলছে। পিজিসিবি কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে নগরীতে আরও বেশ কয়েকটি সাব স্টেশনে আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল সংযোগ স্থাপন করেছে। নির্মাণ করেছে বেশ কয়েকটি নতুন সাব স্টেশনও। প্রতিটি সাব স্টেশনের ক্যাপাসিটি হচ্ছে ২০০ মেগাওয়াট করে।

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির সঞ্চালন লাইনের শতভাগ আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল স্থাপনের কাজ শেষ হলে ঝড় বৃষ্টির সময়ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে বলে জানান পিজিসিবির সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী। এজন্য নতুন সাব স্টেশনের পাশাপাশি আধুনিকায়নও করা হচ্ছে। কালুরঘাট নতুন সাব স্টেশনের কাজ শেষ। আগামী এপ্রিলে চালু হবে। ষোলশহর সাব স্টেশনেরও কাজ শেষ। আজ থেকে টেস্টিং হবে হলে জানান পিজিসিবি চট্টগ্রামের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী।

এই ব্যাপারে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিতরণ চট্টগ্রাম দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. শামসুল আলম জানান, চট্টগ্রাম মহানগরীর সার্বিক বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থা উন্নয়নের লক্ষ্যে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবি) ১ লাখ ৩২ হাজার ভোল্টের আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল লাইন ধারাবাহিকভাবে স্থাপন করছে। এখন মদুনাঘাট থেকে কালুরঘাট পর্যন্ত শতভাগ আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল সঞ্চালন লাইনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। বর্তমান সরকারের মিশন হচ্ছে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ। এ লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।

চট্টগ্রাম মেট্রো এলাকায় ইতোমধ্যে সাগরিকা মোড় থেকে আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল (আংশিক) রামপুর-খুলশী পর্যন্ত ২ দশমিক ৭৬ কিলোমিটার এবং রামপুর থেকে হালিশহর পর্যন্ত (আংশিক) ২ দশমিক ৭৬ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন দুটি সাগরিকা ক্রসিং মোড় হয়ে পোর্ট কানেকর্টিং রোডের দুই পাশে প্রায় ২ মিটার গভীর দিয়ে নব নির্মিত ২৩০/১৩২ কেভি রামপুর গ্রিড উপ কেন্দ্রের সাথে সংযুক্ত করা হয়েছে। তবে শতভাগ আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল লাইন হয়েছে রামপুর থেকে আগ্রাবাদ পর্যন্ত ৪ দশমিক ৫৪ কিলোমিটার।

তিনি জানান, বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা এবং সঞ্চালন ব্যবস্থাকে আমাদের নিজেদের শরীরের মতো নিয়মিত যত্ন নিতে হয়। এজন্য আমরা নিয়মিত মেন্টেইনেন্স করি তাহলেই গ্রাহকরা ভালো বিদ্যুৎ সেবা পাবে। আমাদের বিদ্যুৎ দেওয়ার সক্ষমতা আছে।

অভিযোগ রয়েছে নগরীর পাশাপাশি উপজেলাগুলোতেও বিতরণ এবং সঞ্চালন লাইনের আধুনিকায়ন না হওয়ায় বিদ্যুত বিভ্রাট ঘটে। আর লো ভোল্টেজ সমস্যা তো রয়েছেই। বিতরণ সংস্থাগুলো এ জন্য দায়ী করে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশকে (পিজিসিবি)।

আর পিজিসিবির বক্তব্য, বিতরণ সংস্থাগুলোর ত্রুটির কারণে গ্রাহককে মানসম্মত বিদ্যুৎ িদেয়া যাচ্ছে না। তবে বিতরণ ও সঞ্চালন ব্যবস্থার উন্নতির জন্য সরকার বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্প গ্রহণ করেছে। নগরীতে বর্তমানে বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়নে দুটি প্রকল্পের (১১শ’ কোটি টাকা ও ২৫শ’ কোটি) কাজ চলছে। পাশাপাশি সঞ্চালন ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) কর্তৃপক্ষও নগরীতে ১ লাখ ৩২ হাজার ভোল্টের আন্ডারগ্রাউন্ড (ভূ-গর্ভস্থ) ক্যাবল স্থাপনের কাজ করছে। দৈনিক আজাদী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!