Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | ধর্ষণ প্রমাণের পরীক্ষা ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ নিষিদ্ধ

ধর্ষণ প্রমাণের পরীক্ষা ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ নিষিদ্ধ

62596_two-finger

নিউজ ডেক্স : ধর্ষণের শিকার নারীর মেডিকেল পরীক্ষায় ‘টু ফিঙ্গার’ (দুই আঙ্গুলের মাধ্যমে পরীক্ষা) পদ্ধতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আদালত ধর্ষণের পরীক্ষার জন্য সরকারের করা হেলথ কেয়ার প্রটোকলে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করতে বলেছেন।

এক রিট আবেদেনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল) বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

একই সঙ্গে পরীক্ষার সময় ভিকটিমের আত্মীয়, নারী চিকিৎসক, নারী পুলিশ, নারী নার্স রাখতে বলা হয়েছে। এছাড়া ধর্ষণ মামলার বিচারকালে আইনজীবী কখনও ভিকটিমকে অমর্যাদাকর প্রশ্ন করতে পারবেন না বলেও রায়ে বলেছেন আদালত। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন।

এর আগে ২০১৬ সালে হাইকোর্টে মৌখিকভাবে মতামত দিয়েছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সাবেক প্রধান ডা. হাবিবুজ্জামান চৌধুরী, একই হাসপাতালের ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইল ল্যাবরেটরির প্রধান ডা. সাফিউর আখতারুজ্জামান, মিরপুরের ডেল্টা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. জাহিদুল করিম আহমেদ, বারডেম হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিনের প্রফেসর ডা. গুলশান আরা এবং  ইন্দো-প্যাসিফিক অ্যাসোসিয়েশন অব ল’, মেডিসিন অ্যান্ড সায়েন্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট মুজাহিরুল হক।

তারা বলেছেন, ‘এই পদ্ধতি সেকেলে ও অনৈতিক। যৌন নির্যাতনের পরীক্ষার আধুনিক অনেক পদ্ধতি আবিস্কার হয়েছে।’

ধর্ষণ প্রমাণে টু ফিঙ্গার পদ্ধতির উপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ২০১৩ সালের ৮ অক্টোবর মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ডসার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, ব্র্যাক, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, নারীপক্ষ এবং ডা. রুচিরা তাবাচ্ছুম ও ডা. মোবারক হোসেন খান রিট আবেদনটি দায়ের করেন।

আবেদনে বলা হয়, সনাতন এই পদ্ধতিতে ধর্ষণের পরীক্ষা করার কারণে অনেক ভিকটিম পরীক্ষা করতে আসেন না। আর এ কারণে অনেকে ধর্ষিত হয়েও বিচার পান না। ভারতে এ পদ্ধতি বাতিল করা হয়েছে। ওই রিটের ওপর জারি করা রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে আদালত রায় ঘোষণা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!