
নিউজ ডেক্স : দেশে প্রকৃত নদীর সংখ্যা কত তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে প্রতিটি বিভাগে নদীদখলদারদের তালিকাও চেয়েছেন আদালত। এছাড়া নদী দখলমুক্ত করতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ), অর্থ সচিব, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও নদী রক্ষা কমিশন এবং সকল জেলা প্রশাসককে এই তালিকা করে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এ-সংক্রান্ত রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার (২১ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিটকারী পক্ষের আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। জাগো নিউজ

আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট হাসানুল বান্না। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
এর আগে দেশের সব নদীর পূর্ণাঙ্গ তালিকা, তুরাগ নদীর সীমানা পুনরুদ্ধার ও প্রতিটি বিভাগে নদী দখলকারীদের তথ্য জানার নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করে পরিবেশবাদী আইনজীবীদের সংগঠন বেলা।
আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, নদীর বিষয়ে করা রিটে যুক্ত করা তথ্যে বলা হয়েছে, নদীর সংখ্যা নিয়ে একেকটি পক্ষের একেক হিসাব রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, দেশে নদীর সংখ্যা ৪০৫টি। নদী রক্ষা কমিশনের হিসাবে ৭০৭টি নদী আছে বাংলাদেশে। আর বেসরকারি গবেষণায় এক হাজার ১৮২টি নদীর কথা বলা হয়েছে। তাই মূলত তুরাগ নদীর প্রকৃত সীমানা নির্ধারণ, নদীর সঠিক তালিকা ও অন্যান্য নির্দেশনা চেয়ে এই রিট দায়ের করে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)। ওই রিটের শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেন আদালত।
দেশের সব নদীর পূর্ণাঙ্গ তালিকা ও প্রতিটি বিভাগে নদীদখলদারদের তালিকা আগামী ছয় মাসের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। অর্থ সচিব, পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং সকল জেলা প্রশাসককে ছয় মাসের মধ্যে নদীর তালিকা ও নদী দখলকারীদের তালিকা জমাদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Lohagaranews24 Your Trusted News Partner