এলনিউজ২৪ডটকম: ডাকাতি করে পালানোর সময় লোহাগাড়ায় আন্ত:জেলা ডাকাতদলের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ভোরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া এলাকায় চেক পোস্টে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বাঁশখালী থানার পশ্চিম কাথারিয়া এলাকার নুরুল আলমের পুত্র আবুল কাশেম ওরফে জামাই কাশেম (৫২), কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার ৩ নাম্বার ওয়ার্ডের ফুলতলা এলাকার মৃত জেবল হোসেনের পুত্র ছাদেকুর রহমান (৩১), একই পৌরসভার ১ নাম্বার ওয়ার্ডের মো. মাসুকের পুত্র কামাল (৩৫) ও চকরিয়া থানার পূর্ব বড় ভেওলা পাড়ার মৃত আলমগীর ফারুকের পুত্র কেফায়েত হোসেন (২৪)।

পুলিশ জানায়, পটিয়া থানার ফকির পাড়ায় ডাকাতি করে ১০-১২ জনের একদল ডাকাত মালামালসহ কক্সবাজারের দিকে পালিয়ে যাবার খবরে মহাসড়কের জাঙ্গালিয়া এলাকায় চেকপোস্ট বসানো হয়। এ সময় একটি সিঙ্গেল কেবিন পিকআপ তল্লাশির সময় ডাকাতদলের সদস্যরা পালনোর চেষ্টা করেন। পুলিশ ধাওয়া করে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন।
পরে গ্রেপ্তার ডাকাতদের হেফাজতে থাকা ২টি দেশিয় তৈরি একনলা বন্দুক, ৪ রাউন্ড কার্তুজ, ১টি রাম দা, ১টি টিপ ছুরি, ২টি চাকু, ১টি লোহা কাটার কাঁচি, ২টি শাবল, ২টি ধারালো দা, ১টি টর্চলাইট, নগদ ১৬ হাজার টাকা, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ৪টি মোবাইল ফোন, ১টি পোর্টেবল হার্ডডিস্ক ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ১টি পিকআপ গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া পটিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১টি মোবাইল ফোন, ১টি মানকি ক্যাপ ও ১টি কালো ব্যাগ উদ্ধার করা হয়।
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা পটিয়ায় ডাকাতির ঘটনা স্বীকার করেছে। শুক্রবার (২০ জুন) তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় পটিয়া থানায় ডাকাতি মামলা ও লোহাগাড়া থানায় অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে জামাই কাশেমের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বিভিন্ন থানায় একাধিক অস্ত্র ও ডাকাতির মামলা রয়েছে। কামালের বিরুদ্ধেও অস্ত্র ও চুরির মামলা রয়েছে। ডাকাতদলের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশী অভিযান চলছে।