
নিউজ ডেক্স : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিয়ম নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) প্রকাশিত রিপোর্টে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের আঁতে ঘা লেগেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
তিনি বলেন, সরকারের সর্বব্যাপী নিয়ন্ত্রণের ঘন অন্ধকার ভেদ করে টিআইবি রিপোর্টে ভোট ডাকাতির মহাসত্য প্রকাশ হওয়াতে সরকারের মন্ত্রীরা ও নির্বাচন কমিশন মুখ লুকাতে পারছে না। সেজন্য আর্তচিৎকার করে সত্য লুকানোর চেষ্টা করছে। তবে তাতে কোনো লাভ নেই। মানুষ যা জানার নির্বাচনের আগের দিন রাত থেকেই জেনেছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশ বলেছে- এই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ। তারা এই ভুয়া ভোটের নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেয়নি এবং তদন্ত দাবি করেছে। বিশ্ববাসী এই নির্বাচনকে ইতিহাসের নিকৃষ্ট নির্বাচন হিসেবে অভিহিত করেছে।
রিজভী আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ জীবন উৎসর্গ করে এই দেশ স্বাধীন করেছে, তারা প্রয়োজন হলে জীবন দিয়ে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনবে।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থতার কারণে গতকাল আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। অবিলম্বে বিশেষায়িত হাসপাতালে তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
রিজভী বলেন, নজীরবিহীনভাবে খালেদা জিয়াকে কারাগারে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে আটকে রাখা হয়েছে। এর পেছনে ব্যক্তির প্রতিহিংসা পূরণের সাধ মেটানো হচ্ছে, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তার সুচিকিৎসার জন্য পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে কোনো আবেদনই কারাকর্তৃপক্ষ রক্ষা করেনি, বরং সরকারের প্ররোচণায় কারাকর্তৃপক্ষ বেগম জিয়ার অসুস্থতাকে আরও অবনতির দিকে ঠেলে দেয়ারই চেষ্টা করেছে। সরকারের কারসাজিতেই বেগম জিয়ার সুচিকিৎসা ও জীবন এখন গভীর সঙ্কটে।
তিনি বলেন, চিকিৎসা শেষ না হতেই হাসপাতাল থেকে তাকে ফেরত পাঠানো হয়েছে কারাগারে। তার অসুস্থতা সত্ত্বেও সেটিকে আমলে না নিয়ে বারবার আদালতে উপস্থিত হওয়ার জন্য বাধ্য করা হচ্ছে। হয়রানি ও শারীরিকভাবে কষ্ট দেয়ার জন্যই সরকারের সাজানো অসত্য মামলায় বেগম জিয়াকে ঘন ঘন আদালতে উপস্থিত করা হচ্ছে।
Lohagaranews24 Your Trusted News Partner