নিউজ ডেক্স : সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জেলখানায় বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। একইসঙ্গে বিএনপির করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি বলেছেন, ‘জেল তো জেলই। জেলখানা আরাম-আয়েশের জায়গা না।’ রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
কারাগারে খালেদা জিয়াকে কোনও ধরনের অসম্মান বা অমর্যাদা করা হচ্ছে না জানিয়ে কাদের বলেন, ‘জেলকোড অনুযায়ী সব সুযোগ-সুবিধা দেয়া হচ্ছে খালেদা জিয়াকে। তবে জেলকোডে গৃহপরিচারিকা অথবা ব্যক্তিগত সহকারী রাখার কোনও বিধান নেই।’

অতীতের কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ওয়ান ইলেভেনের সময় আমাদের নেত্রীও (শেখ হাসিনা) জেলে ছিলেন। উনিও গৃহপরিচারিকা রাখেননি। বঙ্গবন্ধুও এ ধরনের সুবিধা পাননি।’
এদিকে গতকাল গুলশানে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে স্যাঁতসেঁতে ও পরিত্যক্ত জায়গায় একা রাখা হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে একজন সাধারণ কয়েদির মতো রাখা হয়েছে। ৭৫ বছর বয়সী একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ডিভিশন না দেয়া অমানবিক।’
মির্জা ফখরুলের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভবনটি পরিত্যক্ত হলেও খুব বেশি দিনের পরিত্যক্ত নয়। খালেদা জিয়াকে সেখানে রাখার মতো উপযোগী করেই স্থানটি তৈরি করা হয়েছে। ভিআইপি আসামি হিসেবে উনার জন্য বিশেষ ডেকোরেশন করা হয়েছে।’
এদিকে খালেদা জিয়াকে জেলকোড অনুযায়ী প্রথম শ্রেণির (ডিভিশন) বন্দির মর্যাদা দিতে কারা কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে রবিবার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ০৮ ফেব্রুয়ারি দুপুর আড়াইটায় রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন। রায়ে তারেক রহমানসহ বাকিদের ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার পর ওই দিনই কড়া নিরাপত্তায় খালেদা জিয়াকে ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়। বর্তমানে তিনি সেখানেই আছেন।