___জেসমিন সুলতানা চৌধুরী___
জাগো মাঝি!
হও হুঁশিয়ার,
ধরো হাল তুলো পাল।
পাড়ি দিতে হবে উত্তাল পারাবার
চারিদিকে অমানিশার ঘোর অন্ধকার,
দিকহারা , পথহারা যাত্রীদের কে করবে উদ্ধার?
রক্তপিপাসু হাঙ্গরের মতো সুযোগ সন্ধানীরা থাকেই আশপাশ,
এতদিনের স্বাধীন জাতি সর্বগ্রাসী দানবের পেটে
কেন করবে বসবাস ?
তরুণ মানে সাহসের সম্ভার,
তরুণ মানে দীপ্ত শিখা আলোর,
তরুণদল পারবে উন্মুক্ত করতে সমস্ত সম্ভাবনার রুদ্ধ দ্বার।
ভাঙতে হবে সব লৌহ শৃঙ্খল,
যতই না হোক কঠিনতর।
বন্ধ কর চিরতরে সমস্ত জরাজীর্ণ, গ্লানি, ব্যর্থতা,
না পাওয়ার বেদনা হাহাকার
আসুক না যতই চোখ রাঙানি ভয়ার্ত চিৎকার।
করোনা ভয়,
ধরে রাখতে হবে জয়।
যাত্রীদের সব মস্তক আজ অবনত,
নবীন প্রবীণ সবাই বরণ করে নিচ্ছে দাসত্ব।
আর কত!
এভাবে চলতে পারেনা অবিরত।
তোমাদের হতে হবে কান্ডারি
জাগাতে হবে যত ঘুমন্ত সব যাত্রী।
ছড়িয়ে পড়া বিষের ব্যাথায়
কূলহীন যাত্রীরা ডুবে মরবে মাঝ দরিয়ায়।
বিষবাস্প ছড়িয়ে দিয়েছে
রন্ধ্রে রন্ধ্রে,
যাতনার নীল খুন বেঁধে
রেখেছে অন্ধের মন্ত্রে।
জাগো তরুণ!
জাগো নবীন!
তোমরাই নাবিক,
তোমরাই অরুণ।
উড়াও ঝান্ডা,
আলোর মশাল হাতে দেখাও পথ।
তোমাদের আলোতে সব জরাজীর্ণ, গ্লানি হবে নিশ্চিহ্ন,
যাত্রীরা কিনারা পাবে নির্বিঘ্নে।