নিউজ ডেক্স : কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মঈনউদ্দিন জনিকে (২৫) ছুরিকাঘাত করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে কক্সবাজার সরকারি কলেজ এলাকায় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
জনি কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা বাংলাবাজার এলাকার বিমান বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা মুক্তিযোদ্ধা এস এম নুরুল হক বীর প্রতীকের ছেলে। তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
জনির বড় ভাই জেলা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কক্সবাজার জেলা শাখার সহ-সভাপতি খোরশেদুল হক জানান, দায়িত্ব শেষ করে কর্মস্থল কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হয়ে রাস্তায় ওঠে জনি। রাস্তার পাশে দাঁড়ানো একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে নেমে কয়েকজন যুবক কিছু বুঝে ওঠার আগেই জনিকে এলোপাতারি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
তার দাবি, কক্সবাজার সদর উপজেলার খরুলিয়ার চিহ্নিত সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে জনিকে হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। তবে জাহাঙ্গীরের সঙ্গে অতীতে জনির কোনো শত্রুতা নেই বলেও দাবি করেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও কক্সবাজার সদর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক। ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর র্যা লি শেষে জেলা পরিষদ এলাকায় কথা কাটাকাটির জের ধরে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী জাহাঙ্গীরকে মারধর করে। মা্রধর করা নেতাকর্মীরা জনির আজ্ঞাবহ ছিল। এ কারণে, জাহাঙ্গীরের সমর্থকরা বৃহস্পতিবার জনির ওপর হামলা চালিয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জাহাঙ্গীর বলেন, জনিকে হামলার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তাকে অহেতুক দোষারোপ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরুল রাশেদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়।
ঝিলংজা ইউপি চেয়ারম্যান টিপু সোলতান বলেন, দুই পক্ষই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। জেলা নেতৃবৃন্দ বসে এটির সমাধান দেবেন বলে জেনেছি।
কক্সবাজার সদর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আসলাম হোসেন বলেন, ছুরিকাঘাতের অভিযোগ পেয়ে তা দেখতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।