
নিউজ ডেক্স : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ১৮ শিক্ষকের কলেজে ফিরে যাওয়া নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ না মানায় আদালত অবমাননার অভিযোগে উপাচার্য, রেজিস্ট্রারসহ চারজনের বিরুদ্ধে রুল জারি করেছেন আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে বাদীপক্ষের আইনজীবীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মামনুল রহমান ও আশিস রঞ্জনের আদালত তা আমলে নিয়ে কেন তাঁদেরকে শোকজ করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নূর আহমদ, কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সেকান্দার চৌধুরী এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের বর্তমান পরিচালক প্রফেসর বশির আহাম্মদের বিরুদ্ধে রুল জারি করা হয়।
এ ব্যাপারে আইনজীবী ফাহমিদ সারওয়ার বলেন, আদালতের স্থগিতাদেশ সত্ত্বেও আইইআরের ১৮ শিক্ষককে নিজ নিজ পদায়ন করা হয়নি। তাঁদের ক্লাস নিতে দেওয়া হচ্ছে না এবং বেতন-ভাতাদি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে আদালতের রায়কে আবমাননা করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ উপাচার্যসহ চারজনের বিরুদ্ধে কনটেন্ট পিটিশন যা আদালত অবমাননার অভিযোগ করা হয়েছে। সেখানে হাইকোর্ট দুই সপ্তাহ সময় নিয়ে কেন তাঁদেরকে শোকজ করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন।
এ ব্যাপারে উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘তাদের একটি পিটিশনের ভিত্তিতে কোর্ট সাধারণ একটি রুল ইস্যু করেছেন। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে যাঁরা আইনজীবী আছেন তাঁরা এটাকে আদালত অবমাননা মনে করছেন না। এ সম্পর্কে তাঁরা তাঁদের জবাব দেবেন।’
প্রসঙ্গত, গত ১৫ জুলাই শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ১৮ শিক্ষকের কলেজে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে ছয় মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আদেশটি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে রুল জারি করেন আদালত। এরপর হাইকোর্টের এই স্থগিতাদেশের বিপক্ষে আপিল করে বিশ্ববিদ্যালয়।
পরে আপিলের শুনানি এক দফা পেছানোর পর গত ১৪ আগস্ট শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের একটি বেঞ্চ হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ বহাল রাখেন। সেই সঙ্গে হাইকোর্টের জারি করা রুল নিষপত্তির আদেশ দেন।