নিউজ ডেক্স : বন্দরনগরী চট্টগ্রামে অস্থায়ী দমকা হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। রোববার (১৬ আগস্ট) রাত থেকে থেমে থেমে বৃষ্টিতে নগরের কয়েকটি নিম্নাঞ্চলে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা।
সোমবার (১৭ আগস্ট) বেলা ১০টার দিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে- চট্টগ্রামে বৃষ্টি আরও কয়েকদিন টানা থাকতে পারে। সেই সঙ্গে আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে সাময়িকভাবে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে।
চট্টগ্রামের কোথাও কোথায় অস্থায়ী দমকা হাওয়ার সঙ্গে মাঝারী থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণ, দক্ষিণ পূর্ব দিকে থেকে ঘণ্টায় ১২-১৫ কিলোমিটার বেগের বাতাস ৩০-৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ শেখ ফরিদ আহমেদ জানান, সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৩৩ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সাগর কিছুটা উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া নদী বন্দরে ১ নম্বর নৌ সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে চট্টগ্রামে থেমে থেমে বৃষ্টিতে নগরের নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ। অনেকের নিচ তলার বাসা বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে।
সোমবার সকালে কাজের প্রয়োজনে বাইরে আসা মানুষ বৃষ্টির কারণে দুর্ভোগে পড়েন। সড়কে গণপরিবহন কম থাকায় অনেকে বৃষ্টিতে ভিজেই কর্মস্থলে যোগ দেন।
ভারী বর্ষণে ভূমিধসের শঙ্কায় নগরের সরকারি ও বেসরকারি মালিকানাধীন ১৭টি পাহাড়ের পাদদেশে ‘মৃত্যুঝুঁকি’ নিয়ে বসবাস করা লোকজনকে সরে যেতে মাইকিং করছে জেলা প্রশাসন।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এস এম জাকারিয়া জানান, ভারী বর্ষণে ভূমিধসের শঙ্কায় চট্টগ্রাম নগরের ১৭টি পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করা লোকজনকে সরে যেতে মাইকিং করছে জেলা প্রশাসন।
তিনি বলেন, সোমবার বিকেলের মধ্যে পাহাড় থেকে লোকজন স্বেচ্ছায় সরে না গেলে এবং বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে পাহাড়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে তাদের সরিয়ে দেওয়া হবে। বাংলানিউজ