নিউজ ডেক্স : নগরের হকার নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা এবং সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার পরও ফুটপাত পুরোপুরি হকারমুক্ত হয়নি। অবশেষে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
দিনভর অভিযানে কোতোয়ালি থানাধীন জুবিলি রোড, নিউ মার্কেট, শহীদ সোহরাওয়ার্দী সড়ক এলাকার ফুটপাত যেসব হকার ছাড়েনি তাদের উচ্ছেদ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
চসিক স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা জজ) জাহানারা ফেরদৌসের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে অবৈধভাবে বসা শতাধিক ভাসমান দোকানপাট, আসবাবপত্র ও সরঞ্জাম অপসারণ করা হয়। এ সময় আলকরণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারেক সোলেমান সেলিম, ফিরিঙ্গিবাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লবসহ বিভিন্ন হকার সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
চসিক সূত্র জানায়, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ঈদুল আজহার ছুটি শেষে অনেক হকার ফুটপাত ও সড়ক থেকে তাদের মালামাল নিয়ে গেলেও কিছু হকার দখল ছাড়েনি। তাদের উচ্ছেদে এই অভিযান শুরু হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে কোতোয়ালি থানা এলাকার হকারদের শৃঙ্খলার মধ্যে আনার লক্ষ্যে কাজ চলছে। এরপর পর্যায়ক্রমে পুরো নগরীর হকারদের শৃঙ্খলার মধ্যে আনা হবে।
এদিকে নগরবাসীর নির্বিঘ্নে চলাচলের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে হকাররা চসিকের আহ্বানে সাড়া দিয়ে শৃঙ্খলার মধ্যে আসায় সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন গতকাল এক বিবৃতিতে হকারদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, হকারদের শৃঙ্খলার মধ্যে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে হকার্স সংগঠনের দায়িত্বশীলদের সঙ্গে ইতিপূর্বে কয়েক দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে পবিত্র ঈদুল আজহার পর থেকে নির্দিষ্ট স্থানে বিকেল পাঁচটা থেকে রাত ১০টা চসিক নির্দেশিত পন্থায় পথচারীদের অসুবিধা সৃষ্টি না করে ব্যবসা পরিচালনার বিষয়ে হকাররা ঐকমত্য পোষণ করে প্রায় ৫০ বছর ধরে ফুটপাতে দিনের বেলায় বিশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত ব্যবসা বন্ধ রেখেছে। -কালের কন্ঠ