নিউজ ডেক্স : চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের গ্রুপিং রাজনীতি নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগই আওয়ামী লীগের শত্রু।’ বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘চট্টগ্রামে মাঝে মাঝে যখন তুচ্ছ কারণে অবাঞ্ছিত, অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে, তখন মনে বড় কষ্ট লাগে। বড় দুঃখ পাই। সামান্য কারণে একে অন্যের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। চট্টগ্রামে মাঝে মাঝে যখন দেখি আওয়ামী লীগই আওয়ামী লীগের শত্রু, কষ্ট লাগে, দুঃখ পাই। চট্টগ্রামে মাঝে মাঝে যে কলহ দেখি, এটাই চট্টগ্রামের বড় দুর্বলতা।’
প্রসঙ্গত, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে নগরীর লালদীঘির মাঠে চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগ আলোচনা সভা ও র্যালির আয়োজন করে। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনকে বিশেষ অতিথি করা হলেও তিনি সভায় আসেননি।
সভা শুরুর পর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মাঠে দু’পক্ষ চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। এতে নগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর মোবারক আলীসহ অন্তত পাঁচজন আহত হন। যুবলীগের নেতাকর্মীদের মারামারি দেখে ক্ষুব্ধ নওফেল বক্তব্য না দিয়ে সভাস্থল ত্যাগ করেন।
গুটিকয়েক খারাপ লোকের জন্য গোটা আওয়ামী লীগ বদনামের ভাগিদার হবে না মন্তব্য করে কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনার অ্যাকশন শুরু হয়ে গেছে। যারা অন্তর্কলহ করবে, অপকর্ম করবে, দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি, ভূমি দখল, মাদক ব্যবসা করবে, সেসব অপকর্মদারীদের স্থান আওয়ামী লীগে নেই। আমাদের দূষিত রক্তের দরকার নেই। দূষিত রক্ত বের করে দিতে হবে। বিশুদ্ধ রক্ত সঞ্চালন করতে হবে। গুটিকয়েক খারাপ লোকের জন্য গোটা আওয়ামী লীগ বদনামের ভাগিদার হবে না। আওয়ামী লীগের ভালো লোকদের ত্যাগ বৃথা যেতে পারে না।’
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, প্রয়াত আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর সন্তান ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, কেন্দ্রীয় উপদফতর সম্পাদক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, সাংসদ নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও আবু রেজা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভী, উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম প্রমুখ।